বর্ষবরণে উহানের রাস্তায় জনতার ঢল

কোভিডের চোখ রাঙানিকে থোড়াই কেয়ার। বর্ষবরণের রাতে একেবারে জন বিস্ফোরণ দেখা গেল উহানে। শনিবার রাতে পথে নেমে বর্ষবরণের উৎসবে মাততে দেখা গেল উহানের বাসিন্দাদের। অথচ চিনের এই উহান থেকেই ছড়িয়েছিল করোনা। শুধু তাই নয়, এখনও যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক তাও নয়। তারই মাঝে শনিবার রাতে পথ নামতে দেখা গেল হাজার হাজার মানুষকে। বেলুন উড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেখা যায় তাঁদের। মধ্যরাতে চলে লেজার শো। শুধু তাই নয়, বর্ষবরণের এই উৎসবের বিভিন্ন রকমের সাজ-পোশাকে আনন্দে মাততেও দেখা যায় উহানের বাসিন্দাদের। তবে সব থেকে আশ্চর্যের ঘটনা হল চিনে কোভিড সংক্রমণের হার বেশ ঊর্ধ্বমুখী হলেও এদিন কারও মুখে মাস্ক থাকতে দেখা যায়নি। কোথাও মানা হয়নি দূরত্ব-বিধি। এদিকে নানা সূত্রে খবর মিলছে চিনে কোভিডের অতিসংক্রমণ প্রজাতি ওমিক্রনের বিএফ-৭ ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। ফলে এমন এক অবস্থায় বর্ষবরণের রাতে উহানের এই ছবি যথেষ্ট উদ্বেগের বলে মনে করছেন চিকিৎসক মহলের এক বিরাট অংশ। এদিকে আবার ৮ জানুয়ারি থেকে চিনা নাগরিকদের বিদেশ যাত্রায় অনুমতি দিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফলে সব মিলিয়ে চিন থেকে মারাত্মক হারে এই বিএফ-৭ এর ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই চিনে কোভিডের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি সামলাতে ‘কোভিড শূন্য নীতি’ নিতে দ দেখা যায় প্রেসিডেন্ট জিনপিং-কে। একের পর এক শহরে জারি করা হয় লকডাউন। গৃহবন্দি রাখা হয় চিনা নাগরিকদের। এমন এক অবস্থায় হঠাৎ-ই গত নভেম্বরে সাংহাই, বেজিং-সহ একাধিক শহরে শুরু হয় গণবিক্ষোভ। যার জেরে কোভিড বিধিনিষেধে শিথিলতা আনতে বাধ্য হন চিনা প্রেসিডেন্ট। অনুমতি দেওয়া হয় বর্ষবরণের রাতের উৎসবের। এদিকে শনিবারের বর্ষবণের রাতে যাঁরা উহানের মেতেছিলেন তাঁদের বক্তব্য, ‘গত দু’বছর কোভিডের কারণে আমরা আনন্দ করতে পারিনি। দু’বছর ধরে আমরা গৃহবন্দি জীবন কাটাচ্ছি। অথচ বিশ্বের অনেক দেশই ধীরে ধীরে করোনার কবল থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিশ্বজুড়েই উঠে যাচ্ছে কোভিড বিধি।’ তাই এখন কোভিডের ভয়ে আর ঘরবন্দি হয়ে থাকতে চান না তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =