ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুমকি অভিযুক্ত সাংবাদিকের

ঋদ্ধিমান সাহা  বনাম সাংবাদিক বিতর্কে যোগ হল নতুন পর্ব। এই ঘটনা নাটকীয় দিকে মোড় নিল শনিবার। এ দিন নয়াদিল্লি উড়ে গিয়ে বঙ্গ উইকেটকিপার বোর্ড কমিটির কাছে যা জানতেন, সব বলে এলেন। আর রাতের দিকে হঠাৎ সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিকে আক্রমণ করে লিখেছেন, প্রতিটা কাহিনীর দুটো দিক থাকে। ঋদ্ধিমান সাহা আমার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের বিকৃতি ঘটিয়েছেন। যা আমার সুনাম নষ্ট করেছে। আমি বোর্ডের কাছে স্বচ্ছ শুনানি চাই। ঋদ্ধিমানকে আমার আইনজীবীরা মানহানির নোটিস পাঠাবে। সত্যিটা বেরিয়ে আসুক।

এখানে বলে রাখা ভাল, দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে দিয়েছিলেন। যেখানে দেখা গিয়েছিল, ঋদ্ধিমান তাঁকে সাক্ষাৎকার না দেওয়ায় সেই সাংবাদিক তাঁকে লিখেছেন যে, ‘তুমি আমাকে ফোন করলে না। আমি কখনও আর তোমার সাক্ষাৎকার নেব না। আমি অপমান ভাল ভাবে নিই না। আমি এটা মনে রাখব।’ যা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার পর অতীতের তাবড় ক্রিকেটাররা ঋদ্ধিমানকে সেই সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করতে বলেন। ঋদ্ধি প্রথমে বলেননি। বলে দেন, কারও কেরিয়ারের ক্ষতি করা তাঁর উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু বোর্ড  তিন সদস্যের কমিটি বসিয়ে দেয়। বোর্ড কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল-সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিল সদস্য প্রভতেজ সিং ভাটিয়াকে নিয়ে।

শনিবার নয়াদিল্লিতে ঋদ্ধিমানকে ডাকা হয়েছিল কমিটির প্রথম শুনানিতে (যেখানে আবার আশ্চর্যজনক ভাবে কোনও কোনও শীর্ষকর্তার সহচরদের দেখা গিয়েছে, যাঁদের থাকার কথাই নয়)। যে শুনানি শেষে ঋদ্ধিমান বলে দেন, “আমার যা জানা ছিল, সব কমিটিকে বলে দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলব না।” পরে বোর্ড কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল ফোনে বলে দেন, “আমাদের যা জানার ছিল, জেনে নিয়েছি। এরপর রিপোর্ট তৈরি করে বোর্ডকে পাঠাব। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বোর্ড নেবে।”

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 12 =