দেখতে দেখতে এগারো দিন পার। এখনও উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক। কতদিনে তাঁদের উদ্ধার করা যাবে তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে একটি অন্য টানেল তৈরি করে সেটার মাধ্যমে শ্রমিকদের উদ্ধার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়াটিও সময়সাপেক্ষ। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে। যদিও ভিতরে থাকা শ্রমিকরা সুস্থই রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই মুহূর্তে একটি নয়, পাঁচটি অ্যাকশন প্ল্যান রয়েছে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে। তারই সাম্প্রতিকতমটিই হল এই নয়া টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা। মাইক্রো টানেলটি বর্তমান টানেলের লম্ব অবস্থানে বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। যেটির মাধ্যমে শ্রমিকদের উদ্ধার করা যেতে পারে। তবে এই টানেলটিও তৈরি করতে সময় লাগবে। সেই কারণে অন্যান্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবারই প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছে সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে থাকা শ্রমিকদের ভিডিও। তাঁরা কী করছেন, কী ভাবে আছেন, দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। মঙ্গলবার রাতে একটি ৬ ইঞ্চির পাইপলাইনের মাধ্যমে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে গরম খাবার। নিরামিষ পোলাও, মটর পনির ও মাখন মাখানো চাপাটি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে যেন খাবারগুলি সহজপাচ্য হয়। ওই ৬ ইঞ্চির পাইপের মাধ্যমে ফলও পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, এই কয়েকদিন ধরে প্যাকেটজাত খাবার খেয়েছেন আটকে থাকা ৪১ শ্রমিক। সোমবার বিকেলে সুড়ঙ্গে পাইপ স্থাপনের পর থেকেই তাদের গরম খাবার দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে খিচুড়ির পর রাতে ভেজ পোলাও ও মটর পনির পাঠানো হয়েছে।
#WATCH | Uttarkashi (Uttarakhand) tunnel rescue | Sanjeet Rana, a cook says, "We have cooked veg pulao, mattar paneer, and butter chapati for the people trapped inside. We have packed the food in an accurate portion. The food is less spicy and less oily…" pic.twitter.com/aW6qq3Heyf
— ANI (@ANI) November 21, 2023
উত্তরকাশীর রাস্তার ধারে একটি খাবারের দোকানে কাজ করেন সঞ্জিত রানা। তিনিই আটকে পড়া ৪১ শ্রমিকের জন্য মঙ্গলবার খাবার রান্না করেন। থালায় খাবার ঢালতে ঢালতেই তিনি বলেন, ‘সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের জন্য আমরা ভেজ পোলাও, মটর পনির আর ঘি রুটি বানিয়েছি। যথেষ্ট পরিমাণে খাবার প্যাক করা হয়েছে, যাতে কারোর খাবার কম না পড়ে। খাবারে কম তেল ও মশলা দেওয়া হয়েছে।’
হোটেলের মালিক অভিষেক রামোলা বলেন, ‘১৫০ প্যাকেট খাবার তৈরি করেছি আমরা। আজ পোলাও আর পনির বানিয়েছি। সমস্ত খাবারই চিকিৎসকের কড়া নজরদারিতে রান্না করা হচ্ছে। সহজপাচ্য খাবারই পাঠানো হচ্ছে শ্রমিকদের।’