নিউটাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। শনিবার ভোররাতে আগুন লাগে একের পর এক দোকানে। আগুনের খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। যুদ্ধাকালীন পরিস্থিতিতে দমকল কর্মীরা এই আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় টেকনোসিটি থানার পুলিশ। দমকল আধিকারিকদের তরফ থেকে জানা গেছে দোকানের ভেতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ার কারণে আগুন আরও বিধ্বংসী আকার ধারন করে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত কোনও একটি দোকানের উপরে থাকা হাইটেনশন তার ছিঁড়ে পড়ার জেরেই, এমনটাই প্রাথমিকভাবে জানান দমকল আধিকারিকেরা। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে নিউটাউন সাপুরজি সুখবৃষ্টি আবাসনের সামনে পরপর প্রায় ১৫ টি দোকানে আগুন লেগে যায় হঠাৎ করেই। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়ে বেশ কিছু দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে। কারণ আগুনের তাপে সেই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আরও বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় দোকানগুলি। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর তিনটে নাগাদ স্থানীয়রা আগুন দেখতে পান দুটি দোকানে। সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের দোকানের মালিকদেরও খবর দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দমকলে খবর পাঠান। যদিও আসার আগেই আগুন একের পর এক দোকানে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে এই আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান ওই সব ব্য়বসায়ীরা।
এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘প্রথমে আমরা লক্ষ্য করি দুটো দোকানে আগুন জ্বলছে। এরপর দোকানের ভেতরের গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার আওয়াজ পাই। তখনই আগুন হু হু করে অন্যান্য দোকানগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। দোকানের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার কাকভোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে সল্টলেকে এফডি ব্লকের ঝুপড়ি মার্কেটে। আগুনে বেশ কয়েকটি ঝুপড়ি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়।