একেবারে অন্তিমলগ্নে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। রবিবারই শেষ ৪৬তম এই বইমেলা। এই বইমেলা উপলক্ষে কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে জানানো হয় যে, তাদের হিসাব বলছে সবথেকে বেশি ভিড় হয়েছিল ৯ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় পা পড়েছিল ৫৮ হাজার ২৬৭ জন যাত্রীর।
মেট্রোর হিসাব বলছে বইমেলা চলাকালীন এখনও পর্যন্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গ্রিন লাইনে পা পড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ যাত্রীর। ৩১ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই শাখায় মোট ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৭৫ জন যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত এটাই এই শাখায় সর্বোচ্চ যাত্রী পরিবহণের রেকর্ড বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ যাত্রীর মধ্যে সবথেকে বেশি মানুষ মেট্রো ধরেছেন শিয়ালদা, করুণাময়ী ও সেক্টর-ফাইভ স্টেশন থেকে। এই তিন স্টেশনে এই সময়সীমার মধ্যে পা পড়েছে ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৯৭১ জন যাত্রীর। সবথেকে ব্যস্ততম স্টেশন হিসাবে উঠে এসেছে শিয়ালদা মেট্রো।
শুধুমাত্র শিয়ালদায় বইমেলা চলাকালীন ২ লক্ষ ৩ হাজার ১০ জন যাত্রীর পা পড়েছে। সেখানে যাতায়াতের জন্য করুণাময়ীকে বেছে নিয়েছেন ১ লক্ষ ২১ হাজার ৮৩৫ জন যাত্রী। সেখানে একটু পিছয়ে পড়লেও যাত্রী সংখ্যা নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে সেক্টর-ফাইভেও। এই সময়সীমার মধ্যে সেক্টর-ফাইভে পা পড়েছে ৮৬ হাজার ১২৬ জন যাত্রীর। বইপ্রেমীদের কথা মাথায় রেখে ৩০ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রিন লাইনে অতিরিক্ত রেকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল কলকাতা মেট্রোর তরফে। রবিবারও চলেছে মেট্রো।
এটাও ঠিক এবারে বই প্রেমীদের নিঃসন্দেহে এক বড় প্রাপ্তি এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। বড় এতদিন করুণাময়ীতে বইমেলায় আসতে শহর-শহরতলি ও জেলার একটা বড় অংশের মানুষকে ভরসা করতে হত ট্রেন বা বাসের উপরেই। এবার বইমেলায় আগত বইপ্রেমীদের তুমুল ভিড় আর যানজটের হাত থেকে খানিক রক্ষা করেছে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। বারাসত থেকে ব্যারাকপুর, হাবড়া থেকে সোনারপুর, বারুইপুর থেকে বজবজ, সমস্ত জায়গাকেই করুণাময়ীর খুব কাছাকাছি এনে দিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। চলতি মাসের শুরু থেকে বইমেলা উপলক্ষে এই লাইনে চোখে পড়েছে তুমুল ভিড়। শিয়ালদাতে ট্রেন নেমে যেমন সহজেই ধরে নেওয়া যাচ্ছে মেট্রো, তেমনই বইমেলা থেকে ফেরার পথও অনেকটা সুমগম করে দিয়েছে এই মেট্রোই।