তিন থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের কোনও পাঠ্যপুস্তক থাকবে না। তার বদলে খেলনা, খেলাধূলা, জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা, মাতৃভাষার ব্যবহার, ভারতীয় নায়কদের গল্প, ঐতিহ্যগত শিক্ষা এবং বৈচিত্র্য, লিঙ্গ, নৈতিক সচেতনতার বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষালাভ করবে তারা। তাদের পর্যালোচনা করা হবে পর্যবেক্ষণ এবং সৃজনশীলতা বিশ্লেষণের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার, নয়াদিল্লিতে ৩ থেকে ৮ বছরের শিশুদের জন্য নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম চালু করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারির মধ্যে এই কাঠামোর ভিত্তিতে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষার উপাদান তৈরি করবে।
এই প্রথম গোটা দেশে শিশুদের জন্য এই ধরনের সমন্বিত পাঠ্যক্রম তৈরি করা হল। এই নয়া পাঠক্রমে সুপারিশ করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকগুলি থেকে যাবতীয় স্টিরিওটাইপ বাদ দিতে হবে। ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্কে মোট চারটি ধাপ থাকবে – প্রাথমিক শিক্ষা, প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা, মধ্য শিক্ষা ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, ‘ভিত্তি স্তরের জন্য প্রথম ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। কারণ গবেষণায় দেখা গিয়েছে মস্তিষ্কের বিকাশের ৮৫ শতাংশের বেশি ৬ থেকে ৮ বছর বয়সের মধ্যেই ঘটে। তাই, এই বয়সের তারা কী শিখছে এবং তাদের কী শেখা উচিত তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নয়া শিক্ষা কাঠামোতে আরও বলা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তকগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে তুলে ধরতে হবে।