বাংলাদেশে সাংসদ খুনে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান শাহিন আমদানি-রফতানি ব্যবসার কথা বলে ভাড়া নিয়েছিল নিউটাউনের এই ফ্ল্যাট। যে দালালের সূত্রে এই ফ্ল্যাট তারা নিয়েছে তাঁকে জানিয়েছিল, ফ্ল্যাটে ব্যবসার কাজ হবে বলে।
তবে ফ্ল্যাটে অন্যদের আনাগোনা শুরু হতে দালালের প্রশ্নের মুখে পড়েন আখতারুজ্জামান শাহিন। উপায় না পেয়ে খুনের চক্রীদের তাঁর সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দেয়। আবার কখনও বা পরিচয় দেয় বন্ধু হিসেবে। ইতিমধ্যেই ফ্ল্যাট মালিক ও দালালদের সঙ্গে কথা বলে এমনাটইজানতে পেরেছে রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর সিআইডি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এর আগে বাংলাদেশি সাংসদকে দু’বার খুনের পরিকল্পনা করেছিল।তবে তা ব্যর্থ হয়। তৃতীয়বারে সফল।
সঙ্গে এও জানা গেছে, ফ্ল্যাটে ঢোকার পর বাংলাদেশের সাংসদআনওয়ারুল আজিম আনারকে ক্লোরোফর্ম প্রয়োগ করে সংজ্ঞাহীন করেছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এরপর খুন করে মৃতদেহ টুকরো-টুকরো করে কেটে গায়েব করে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে এও জানা গেছে, ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী আখতারুজ্জামান শাহিন কলকাতায় সমস্ত পরিকল্পনা আগে থেকেই সম্পন্ন করে রেখেছিলেন। খুনের সরঞ্জাম নিজেই কিনেছিলেন তিনি। এবং সরঞ্জামগুলি তিনি দেন আততায়ীদের। শুধু তাই নয়, সম্পর্কে বেয়াই সৈয়দ আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভুঁইয়াকে সব বুঝিয়েও দেন শাহিন।