নতুন অতিথি আলিপুর চিড়িয়াখানায়, দর্শকরা দেখতে পাবেন মঙ্গল থেকেই

জোড়া ব়য়্যাল বেঙ্গল উপহার পেল আলিপুর চিড়িয়াখানা। সোমবারই উত্তরবঙ্গ থেকে একজোড়া রয়‌্যাল বেঙ্গল টাইগার আনা হয়েছে এখানে। সোমবার একটি বাঘিনী ও একটি বাঘ পেয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। দুজনেরই বয়স তিন বছর। বেঙ্গল সাফারির শীলার বাচ্চা তারা। মঙ্গলবার দুজনকে দর্শকদের সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আলিপুর চিড়িয়াখানা পাচ্ছে টাপিরও।

 

আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ‌্যা ১০। তবে তাদের বয়স হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রজননের জন‌্য অনেকদিন ধরে বাঘ নিয়ে আসার কথা চলছিল। জানা গিয়েছে, প্রথমে রাঁচি থেকে একজোড়া বাঘ নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। পরে বেঙ্গল সাফারি থেকে বাঘ নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়। বেঙ্গল সাফারির সেরা জুটি শীলা ও বিভান। তাদের সাত সন্তানের মধ্যে দু’জনকে আলিপুরে পাঠানো হয়েছে। শীলার সঙ্গে অবশ‌্য আলিপুরের সম্পর্ক পুরনো।

২০১৬ সালে ওড়িশার নন্দনকানন থেকে রয়‌্যাল বেঙ্গল ঋষি, পায়েল ও স্নেহাশিসের সঙ্গে শীলাকে নিয়ে আসা হয়েছিল আলিপুরে। স্নেহাশিসের সঙ্গে শীলার ভাব জমে উঠতে দেখে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাদের বেঙ্গল সাফারিতে পাঠিয়েছিল। সেখানে দুজনে দিব্যি সংসার করছিল। তাদের ঘরেও সন্তান হয়েছিল। বছর কয়েক পর শীলাকে ছেড়ে ফের আলিপুর চলে আসে স্নেহাশিস। তার পর থেকে বিভানের সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করে শীলা। স্নেহাশিসও পায়েলের সঙ্গে জুটি বাঁধে। কিন্তু স্নেহাশিস-পায়েল চিড়িয়াখানায় কোনও খুশির খবর দিতে পারেনি। বাঘিনিদের বয়সও বেড়ে গিয়েছে।

তাদের দিয়ে চিড়িয়াখানায় বাঘ্রকুলের পরিবার বৃদ্ধির আশা দেখতে না পেয়ে কর্তৃপক্ষ বেঙ্গল সাফারি থেকে নতুন বাঘ নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।পরিবর্তে আলিপুর থেকে একটি পাইথন, হরিণ ও গোসাপ পাঠানো হয়েছে বেঙ্গল সাফারিতে। রাজ‌্য জু অথরিটির মেম্বারস সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী জানিয়েছেন, “দার্জিলিং সাইবেরিয়ান বাঘ পেয়েছে। বেঙ্গল সাফারিতে সিংহ এসেছে। আলিপুর অনেকদিন ধরে কোনও উপহার পায়নি। একটি টাপিরও নিয়ে আসা হয়েছে আলিপুরে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তরবঙ্গে ময়নাগুড়ির ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে শিলিগুড়িগামী একটি বিলাসবহুল গাড়ি করে বিরল প্রজাতির মালায়ন টাপিরটি পাচার করার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। পুলিশ উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেয়। এতদিন বেঙ্গল সাফারিতে তাকে রাখা হয়েছিল। এখন থেকে আলিপুর তার স্থায়ী ঠিকানা।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + six =