ইডেনের মতো এবার রাজারহাটেও স্টেডিয়াম তৈরি করতে চলেছে সিএবি। এখন দেশের প্রায় বেশিরভাগ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থারই দুটো করে স্টেডিয়াম রয়েছে। সিএবিও অনেক দিন ধরেই চাইছিল ইডেনের মতোই আরও একটা স্টেডিয়াম তৈরি করতে। এর আগে ডুমুরজলায় একটা জমি পেয়েছিল সিএবি। কিন্তু বেশ কিছু সমস্যার জন্য সেখানে স্টেডিয়াম তৈরির কাজ সম্ভব হয়নি। এবার আর কোনওরকম সমস্যা থাকছে না। রাজারহাটের জমি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
প্রায় চোদ্দো একর জমি তিরিশ কোটি টাকা দিয়ে কিনছে সিএবি। এদিন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইডেনে এসেছিলেন। সিএবি কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা সারেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে নতুন স্টেডিয়ামের এই ব্যাপারটাও ছিল। যা খবর, তাতে জমি বরাদ্দ হয়ে গেলেও, কাগজপত্র এখনও হাতে আসেনি সিএবির। সেটা হাতে পাওয়ার পরও কাজ শুরু হয়ে যাবে। সবমিলিয়ে ইডেনের মতোই নতপন আর একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম উপহার পেতে চলেছে শহরবাসী।
কলকাতায় আইপিএল বা বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট হলেও একটি মাত্র স্টেডিয়াম অর্থাৎ ইডেনে খেলা হয়। অথচ মুম্বইয়ের মতো শহরে এধরনের টুর্নামেন্টের খেলার জন্য একাধিক আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রয়েছে। এবার সেই ধাঁচে কলকাতায়ও একাধিক আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা করছে সিএবি। তাই এবার রাজারহাটে স্টেডিয়াম গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
সফল ভাবে আইপিএলের প্লে অফ আয়োজিত হয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে। এবার ভোল বদলে যাচ্ছে ক্রিকেটের নন্দনকাননের। ঝাঁ চকচকে আনাচে কানাচে দেখে রীতিমতো চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। ইন্টিরিয়রের বেস কালার সাদা রাখার উপরই জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলা ক্রিকেট সংস্থার কনফারেন্স রুমও তার ব্যতিক্রম নয়। স্টেডিয়ামের অন্দরমহল যেমন সেজে উঠছে, তেমনই সাজানো হবে গ্যালারিও। বসানো হবে নতুন আলোও। দর্শকাসনও বাড়তে পারে বলে খবর।