বিহারে নতুন সরকার গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার ৩০ জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। লালু প্রসাদের দল আরজেডি থেকে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ১৫ জন বিধায়ক। উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের ভাই তেজপ্রতাপও মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন কংগ্রেস বিধায়করাও।
মঙ্গলবার বিহারের (Bihar) নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-য়ের এগারো জন বিধায়ক। কংগ্রেস থেকে দুই বিধায়ক মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। দলিত এবং মুসলিমদের কথা মাথায় রেখে হাম পার্টি এবং নির্দল বিধায়কদেরও মন্ত্রিসভার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রীত্বের (Bihar Cabinet) দায়িত্ব পেয়ে জেডিইউ বিধায়ক লেসি সিং ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, মানুষের স্বার্থে কাজ করবে নতুন জোট সরকার।
অন্যদিকে, মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের দিনই কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিহার বিজেপি (BJP)। রাজ্যের বিজেপি নেতা দীনেশ শর্মা জানিয়েছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের কাকা-ভাইপোর মতো দশা হবে বিহার সরকারের। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের রাজনৈতিক জীবনের বানপ্রস্থ পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেই রাজনীতি থেকে সন্যাস নিতে হবে তাঁকে।’
বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরে গত বুধবার বিহারের নয়া মহাগঠবন্ধন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী পদে জেডি(ইউ) সভাপতি নীতীশ এবং উপমুখ্যমন্ত্রী পদে আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদব শপথ নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার লালুর আর এক ছেলে তেজপ্রতাপ-সহ ৩১ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আরজেডির ১৬, জেডি(ইউ)-র ১১, কংগ্রেসের ২, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার (হাম) ১ এবং ১ নির্দল রয়েছেন।
উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, গ্রামোন্নয়ন, আবাসন এবং সড়ক নির্মাণ দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন। তেজপ্রতাপ হয়েছেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী। আরজেডির রাজ্য সভাপতি জগদানন্দ সিংয়ের ছেলে সুধাকরকেও মন্ত্রী করা হয়েছে। নীতীশ-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন স্পিকার বিজয় চৌধুরী বিহারের নয়া অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। পরিষদীয় দপ্তরও রয়েছে তাঁর হাতে। জেডি(ইউ)-র বিজেন্দ্র যাদব পেয়েছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের ভার।