তুরস্ককে হারিয়ে ইউরোর সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডস

এক গোলে এগিয়েও জোড়া গোল হজম। অঘটন ঘটাতে ব্যর্থ তুরস্ক। শনিবার বার্লিনে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-১ গোলে জিতে ইউরো কাপের সেমিফাইনালে চলে গেল নেদারল্যান্ডস। ২০ বছর পর। শেষদিকে যেভাবে সুযোগ নষ্ট করেছে তুরস্ক, ম্যাচের রেজাল্ট অন্যরকম হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। অবশ্য তার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য ভারব্রুগেনের। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে দুটো নিশ্চিত গোল বাঁচান ডাচ গোলকিপার। শেষ আট থেকে বিদায় নিলেও তুরস্কের এই লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি ডাচরা।‌

ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পায় ডাচরা‌। কিন্তু বাইরে মারেন ডিপে‌। ৬ মিনিটে ডামফ্রাইসের থেকে বল পেয়েও গোলে শট নিতে পারেননি। শুরুতে বল পজেশন নেদারল্যান্ডসের বেশি ছিল। কাউন্টার অ্যাটাকে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে তুরস্ক। ২১ মিনিটে তাঁদের প্রথম হাফ চান্স। ইলমাজের ক্রস ক্লিয়ার করে ডাচ ডিফেন্ডাররা। তার মিনিট দশেক পর তুরস্কের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করেন তিনি। ৩০ মিনিটে মাথায় বক্সের মধ্যে তাঁর দৌড় থামায় ভ্যান ডাইক। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে গোটা স্টেডিয়ামকে অবাক করে তুরস্ক এগিয়ে যায়। গোল করেন আকায়দিন। কর্নার ক্লিয়ার করে ডাচ ডিফেন্ডাররা। বক্সের মধ্যে নিখুঁত ক্রস রাখেন গুলের। স্পট জাম্পে হেড করে তুরস্ককে এগিয়ে দেন আকায়দিন। প্রথমার্ধের শেষদিকে সুযোগ এসেছিল ডিপে, গাকপোর সামনে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তাঁরা। বিরতিতে এক গোলে এগিয়ে ছিল তুরস্ক। গোল লক্ষ্য করে শটও তাঁদের বেশি। ম্যাচের ৫১ মিনিটে সিটার মিস ডিপের। ওয়েগহরস্টের পাসে পা ছোঁয়ালেই গোল। কিন্তু মিস করেন ডিপে। তার চার মিনিটের মাথায় আবার সুযোগ হাতছাড়া। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গুলেরের ফ্রিকিক ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান ডাচ কিপার ভারব্রুগেন। ৬৫ মিনিটে ফের সুযোগ নষ্ট তুরস্কের। ম্যাচ শেষে যার খেসারত দিতে হল। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ১-১ করে নেদারল্যান্ডস। অরেঞ্জ আর্মিদের হয়ে সমতা ফেরান ডে ভ্রিজ। তার ছয় মিনিটের মধ্যে জয়সূচক গোল। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল গাকপোর গোল। কিন্তু শেষ টাচ ছিল মুলডারের‌‌। তাই আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয়। বাকি সময়টা সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তুরস্ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − nine =