বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, সীমান্তে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি ভারতের

নয়াদিল্লি : ছাত্র-যুবদের প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল প্রতিবেশী দেশ নেপাল। যার জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক
‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করে বেশির ভাগ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে এবং নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরাখণ্ড— এই পাঁচটি সীমান্তবর্তী রাজ্যে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে কার্ফু জারি করা হলেও তরুণ প্রজন্ম তা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন। একই সঙ্গে অন্য দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সোমবারের বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর
পাওয়া গেছে, যার জন্য বিক্ষুব্ধ জনতা ও বিরোধী দলগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দায়ি করছে। আন্তর্জাতিক মহলেও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা চলছে। মঙ্গলবার সকালে নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ‘প্রচণ্ড’-র বাসভবনেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

নেপালের এই উত্তাল পরিস্থিতির আঁচ যাতে ভারতে এসে না পৌঁছায়, সে জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিহারের সাতটি সীমান্তবর্তী জেলায় সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) এবং বিহার পুলিশ যৌথভাবে টহলদারি বাড়িয়েছে। এই জেলাগুলো হল পশ্চিম চম্পারণ, সীতামারি, মধুবনী, আরারিয়া, সুপৌল, পূর্ব চম্পারণ এবং কিষাণগঞ্জ। সীমান্তে সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি
করা হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি সীমান্তেও একই ধরনের পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশ এখানে নাকাতল্লাশি শুরু করেছে। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশির কাজে নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াডও। নেপালে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য দার্জিলিং জেলা পুলিশ একটি ২৪-ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − twelve =