টোকিয়ো অলিম্পিকে সোনার পদক জিতে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ইতিহাস গড়েছিলেন নীরজ চোপড়া। তার আগে কমনওয়েলথ গেমসে ২০১৮ সালেই জ্যাভলিন থ্রোয়ে স্বর্ণপদক জেতেন। সেবছরই জাকার্তা এশিয়ান গেমসে প্রথম ভারতীয় হিসেবে জ্যাভলিনে জেতেন সোনা। ইতিহাস গড়েছেন ডায়মন্ড লিগেও। প্রথম ভারতীয় হিসেবে ডায়মন্ড লিগ জয়ের নজির রয়েছে তাঁর। ২০১৬ সালে সাউথ এশিয়ান গেমস, জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১৭ সালে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেতাব জেতেন নীরজ। ২৫ বছরের নীরজের কাছে অধরা ছিল বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা। গতবছর রুপো পেয়েছিলেন। চলতি বছরে পদকের রং বদলে ফেলেছেন। জ্যাভলিন থ্রোয়ের জগতে তিনিই যে বিশ্বসেরা বারে বারে তার প্রমাণ দিচ্ছেন নীরজ। ২৫ বছরের নীরজের পুরস্কারের ঝুলিটাও পরিপূর্ণ। অর্জুন পুরস্কার পদ্মশ্রী, পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল এবং ক্রীড়া জগতের সর্বোচ্চ সম্মান মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২৫ বছরের নীরজের জীবনে আর কিছু জেতার বাকি আছে? এই প্রশ্নটা সাধারণ অনুরাগীদের মধ্যে মনে উঠে আসছে বারবার। নীরজই কি ভারতের সর্বকালের সেরা অ্যাথলিট? বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার ইতিহাস গড়ার পর নীরজকে কি এমনটা বলা যায়? ২৫ বছরের নীরজের গায়ে ‘সর্বকালের সেরা’ তকমা লেগে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যে মঞ্চগুলিতে ভারতীয়দের পদক জেতাটাই একসময় স্বপ্ন মনে হতো সেখানেই সোনার ইতিহাস গড়ছেন নীরজ। তাতেও খিদে কমছে না জ্যাভলিন তারকার। জয়ের খিদে যে কমেনি তা জানাতে রাখঢাক করছেন না নীরজ। সাফল্যের চূড়োয় উঠেও স্পষ্ট বলে দিচ্ছেন, “আমি মনে করি না সব জিতে গিয়েছি।” নীরজ বলছেন, “কথায় বলে, থ্রোয়ারদের কোনও ফিনিশিং লাইন হয় না। আমি প্রচুর মেডেল জিততে পারি কিন্তু এর থেকে আরও দূরে বর্শা ছোড়া বাকি। এত এত পদক জিতে ভাবতে চাই না যে আমি সব জিতে গিয়েছি। আরও পরিশ্রম করব, এর থেকেও বেশি মেডেল জেতার জন্য নিজেকে অনুপ্রাণিত করব। দেশের জন্য আরও সম্মান এনে দেব। আমার সঙ্গে পোডিয়ামে যদি আরও ভারতীয়দের দাঁড়াতে দেখি সেটা দারুণ হবে।”