নীরজ চোপড়া ৯৩ মিটার জ্যাভলিন ছুড়বেন, বলছেন দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া

টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন ভারতের জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়া। অলিম্পিকের মঞ্চে ভারতের প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট হিসেবে সোনা জিতেছিলেন। প্যারিসেও এমন প্রত্যাশা ছিল নীরজের উপর। কুঁচকিতে চোট, পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা নিয়ে প্যারিসের মঞ্চে নেমেছিলেন। যদিও পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রোয়ার আর্শাদ নাদিমের ৯২.৯৭ মিটারের দৈত্যাকার থ্রো ভারতের স্বপ্ন ভেঙে দেয়। এ বার রুপোর পদক এসেছে অলিম্পিকে। প্যারিস থেকে অবশ্য দেশে ফেরেননি। লসেন ডায়মন্ড লিগে অংশ নিয়েছিলেন নীরজ। সেখানে মরসুম সেরা থ্রো করেন নীরজ। যদিও দ্বিতীয় হন। নীরজের স্বপ্ন এবং লক্ষ্য একদিন না একদিন ৯০ মিটার পেরোবেনই। দেশের কিংবদন্তি জ্যাভলিন থ্রোয়ার অবশ্য দাবি করছেন, এক-দু বছরের মধ্যে নীরজ চোপড়া ৯৩ মিটার ছুড়বেন।

দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। নামটা অপরিচিত নয়। ভারতের প্যারা অ্যাথলিট। তিনিও জ্যাভলিন থ্রোয়ার। নীরজের কেরিয়ারে এখনও অবধি সেরা থ্রো ৮৯.৯৪ মিটার। এখনও ৯০মিটারের সীমানা পেরোয়নি। তবে সেই দিন খুব দূরে নয় বলেই মনে করেন কিংবদন্তি জ্যাভলিন থ্রোয়ার দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া। অলিম্পিকের মঞ্চে দুটো সোনার পদক জিতেছেন দেবেন্দ্র। নীরজ চোপড়াকে নিয়ে তাঁর দাবিকে তাই ফেলে দেওয়ার মতো একেবারেই নয়।

প্যারালিম্পিকে জোড়া সোনাজয়ী দেবেন্দ্র ঝাঝারিয়া বলছেন, ‘যদি জ্যাভলিনের ভাষাতেই বলি, ও এখন ৮৯ মিটার প্লাসের সীমানায় আটকে রয়েছে। আমি আমার ২০ বছরের খেলোয়াড় জীবন থেকে বলছি, এই সীমানা যখন ভাঙবে, সেটা খুব সামান্য ব্যবধানের হবে না। অন্তত ৩-৪ মিটারের ব্যবধান হবে। নীরজ যখনই এই সীমানা ভাঙবে, সেটা শুধুই ৯০ হবে না। আমি মনে করি, নীরজ ৯২-৯৩ মিটার ছুড়বে। এক-দু বছরের মধ্যেই এটা ওর করা উচিত।’

কুঁচকির চোট নিয়েই অলিম্পিকে নেমেছিলেন নীরজ। সময় পেলেই তাঁর অস্ত্রোপচার হবে। নীরজ দেশে ফিরলেই এই নিয়ে কথা বলবেন, অলিম্পিকের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছিলেন। ফুল ফিট নীরজ ৯৩ মিটারের টার্গেট পূরণ করতেই পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − six =