কলকাতা: এম্ব্রয়ডারির কাজ করতে মুম্বই যাওয়া। ঠোঁটে সুচ চেপে রেখে অনেক সময় কাজ করেছেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি অসাবধানতায় সেই সুচই ঢুকে গিয়েছে গলা দিয়ে শরীরে। ধাক্কা লেগে, সুচ ঠোঁট থেকে পরে গিয়েছে, খুঁজে পাওয়া যায়নি, অতি সহজ হিসেব ছিল।কিন্তু সেই সুচ যে কয়েক বছর পর গলার কাঁটা হয়ে উঠবে ভাবতে পারেননি কাটোয়ার আব্বাস আলি খান।
চিকিত্সায় সুরাহা করতে পারেনি মুম্বইয়ের হাসপাতাল। বেঙ্গালুরুর বেসরকারি হাসপাতালের খরচ জোগাতে না পেরে আব্বাস চলে এসেছিলেন কলকাতায়। ডাক্তার দেখিয়েছিলেন পিজিতে। সেখানেই অবশেষে ফুসফুসে গিঁথে থাকা সুচ বের করা হয় অস্ত্রোপচার করে।জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে পিজির বক্ষরোগ বিভাগে যান আব্বাস। তাঁকে সিটিভিএস বিভাগে পাঠানো হয়। সেখানকার শিক্ষক চিকিৎসক শিল্পা বসু রায় জানাচ্ছেন, সিটি স্ক্যানে দেখা যায় ওই যুবকের ডান দিকের ফুসফুসের নীচের অংশে গেঁথে রয়েছে সুচটি। প্রায় দেড় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে আব্বাসের বুক কেটে ফুসফুস থেকে সুচ বার করা হয়। এবার সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারবেন আশাবাদী আব্বাস।
জানা গিয়েছে, মুখ থেকে সূচ গলা দিয়ে শরীরে ঢুকে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালে। যদিও সেটা বুঝতেই পারেননি তিনি। কারণ, যখন এটা হয় তখন শরীরে কোনও সমস্যা হয়নি। আব্বাস বলেন, ‘বছর দুয়েক পর থেকে কাশির সঙ্গে রক্ত উঠত, শুতে গেলে মুখেও রক্ত চলে আসত, বুকে ব্যথা হত। যক্ষ্মা পরীক্ষা করালেও তা মিলল না। শেষে এক্স-রে করে দেখা গেল ,ফুসফুসে সুচ গেঁথে রয়েছে।’ মুম্বইয়ে একটি হাসপাতালে এক মাস ভর্তি থাকলেও সুচ বার করা যায়নি বলে জানাচ্ছেন বাইশ বছরের ওই যুবক। বছর দুয়েক আগে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানেও অনেক খরচ দেখে পিছিয়ে আসতে হয়। সমস্যা বাড়তে থাকায় সবশেষে পিজিতে আসেন তিনি।তারপর অস্ত্রোপচারে বের হয় সাত বছর গিঁথে থাকা সুচ।