ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখল ঋষভ পন্থ শো! সুপারসানডে-র রঙ একাই বদলে দিলেন রুরকির বছর চব্বিশের উইকেটকিপার-ব্যাটার। টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরির স্বাদ পাওয়া পন্থ এদিন কেরিয়ারের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক শতরান করলেন। বিশেষ মাইলস্টোন স্মরণীয় করে রাখলেন ভারতকে সিরিজ জিতিয়ে। আবারও বুঝিয়ে দিলেন যে, কেন তিনি ভারতীয় দলে তিন ফরম্যাটে এতটা অপরিহার্য। বল লাল হোক বা সাদা! ঋষভ আছেন ঋষভেই।
রোহিত শর্মার দলের এক নম্বর সেনাপতি হিসাবে বারবার নিজেকে প্রমাণ করছেন পন্থ। ইংল্যান্ডের ২৫৯ রান তাড়া করতে নেমে ভারত ৭২ রানে চার উইকেট (রোহিত ১৭, শিখর ধাওয়ান ১, বিরাট কোহলি ১৭ ও সূর্যকুমার যাদব ১৬) হারিয়ে ফেলে। এখান থেকেই ভারতের ত্রাতা হয়ে উত্তীর্ণ হন পন্থ-পাণ্ডিয়া। তাঁদের যুগলবন্দিতে ১১৫ বলে ১৩৩ রান ওঠে স্কোরবোর্ডে। ৫৫ বলে ৭১ রানের ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলেন পাণ্ডিয়া। চারে নেমে পন্থ ১১৩ বলে ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ভারতকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৬টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান ভারতের তিন ফরম্যাটে এক নম্বর উইকেটকিপার-ব্যাটার।
দুরন্ত ম্যাচের পর পন্থ বললেন, “আশা করি জীবনের প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি আজীবন মনে রাখব। কিন্তু যখন আমি ক্রিজে ছিলাম, তখন শুধু বল বাই বল ফোকাস করছিলাম। যখন দল চাপে থাকে তখন এমনই ব্যাট করতে হয়। রান তাড়া করে জেতার আকাঙ্খাই থাকে। আমি ইংল্যান্ডে খেলা উপভোগ করি। ক্রিকেটকে উপভোগ করার জন্য যা আমি করতে পারব, তাই করে যাব। যত বেশি ক্রিকেট খেলব। তত অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব। ব্যাট করার সেরা পিচ ছিল এদিন। তবে কৃতিত্ব আমি বোলারদের দেব, ওরা ২৬০ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডকে বেঁধে রেখেছিল। শুধু এই ম্যাচেই নয়, পুরো সিরিজেই আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে। এই সিরিজ বলেই নয়, ওরা সারা বছর ভাল বল করেছে।”
পন্থ এদিন চতুর্থ ভারতীয় উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসাবে ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন। তালিকায় রয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়, এমএস ধোনি, কেএল রাহুলের পর এই ক্লাবের নতুন সদস্য তিনি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির সর্বাধিক ৯টি শতরান রয়েছে। দ্রাবিড়ের আছে ৪টি সেঞ্চুরি।