এনসিপিতেও ভাঙন! সমস্ত কমিটি ভেঙে দিলেন শরদ পাওয়ার

এনসিপি এবং তার সমস্ত শাখা সংগঠনগুলি ভেঙে দিলেন দলের সভাপতি শরদ পাওয়ার। এনসিপি সূত্রের খবর, দলের সাংগঠনিক খোলনলচে বদলানোর উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।

এনসিপির জাতীয় সম্পাদক প্রফুল্ল প্যাটেল বুধবার রাতে টুইট করে লেখেন, ‘জাতীয় সভাপতি শরদ পাওয়ারের অনুমতি অনুসারে জাতীয় স্তরের যাবতীয় বিভাগ ও শাখার অবিলম্বে অবলুপ্তি করা হচ্ছে। কেবল ন্যাশনালিস্ট উইমেনস উয়ং, ন্যাশনালিস্ট ইয়ুথ কংগ্রেস ও ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্টস কংগ্রেস থাকবে’। পরবর্তী আরেকটি টুইটে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র বা অন্য কোনও রাজ্য শাখার উপরে কার্যকরী হবে না।

গত ৩০ জুন উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন মহাবিকাশ অঘাড়ি(শিবসেনা এবং কংগ্রেসের পাশাপাশি যে জোটের অন্যতম শরিক এনসিপি)-র সরকারকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিন্ডের শপথের পরে মরাঠা রাজনীতির সমীকরণ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কুশলী রাজনীতিক শরদ সংগঠন এবং শাখা সংগঠনের পদাধিকারীদের রদবদল করতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

পাওয়ার ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেছেন, ‘আমাদের দলের সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’ রাজনৈতিক সূত্রের খবর, শিবসেনায় বিদ্রোহ দেখার পর সতর্ক হয়েছেন শরদ। মহারাষ্ট্রের নয়া বিরোধী দলনেতা হয়েছেন এনসিপি বিধায়ক তথা সদ্যপ্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পর কাকা শরদের নির্দেশ অমান্য করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন অজিত। সম্প্রতি শিন্ডের আস্থাভোটে অজিত ঘনিষ্ঠ কয়েক জন এনসিপি বিধায়ক অনুপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিকমহলের মতে, তাই হয়তো সবদিক বিচার করেই আগেভাগেই শক্ত হাতে হাল ধরতে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন শরদ পাওয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − nineteen =