ইদে রেড রোডের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা ঘিরে অসন্তোষ প্রকাশ নওশাদের

রেড রোডের ইদের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা রাজনৈতিক এবং তা ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টার, এমনটাই অভিযোগ তুললেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। পাশাপাশি ইদের শুভেচ্ছা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে রাজনীতির কথা কেন, তা নিয়ে রবিবার প্রশ্ন তোলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এই প্রসঙ্গে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বক্তব্য, ‘ধর্মীয় মঞ্চকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে।’ একইসঙ্গে শাসকদলের হাইকমান্ড নেতানেত্রীদের বিদ্ধ করে নওশাদ এও জানান, ‘যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা যে কোনও জমায়েত থেকে ফয়দা তোলার জন্য ওঁনারা হাজির হয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী প্রতি বছর রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে যান। আর যেকোনও ধর্মীয় জমায়েতকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসাবে অবলীলায় ব্যবহার করেন। তাঁর এমন কাজের জন্য বাংলার সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সম্পর্কে একটা খারাপ বার্তা যাচ্ছে।’
শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয়েছে খুশির ইদ। প্রতি বছরই মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডে ইদের নমাজে যান। সকলকে শুভেচ্ছাবার্তা দেন তিনি। এবারও তার অন্যথা হয়নি। এদিনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ‘আমি তো বলব আপনারা শান্তিতে থাকুন। কারও কথা শুনবেন না। কেউ কেউ বিজেপির কাছে টাকা নিয়ে গিয়েছে। ওরা বলছে মুসলিম ভোট ভেঙে দেবো। আমি বলি তোমাদের এত ক্ষমতা নেই।’ আর এই বক্তব্যেই ঘোর আপত্তি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের। কারণ, রেড- রোডে ইদের দিন যে অনুষ্ঠান করা হয় তা শুভেচ্ছো বিনিময়ের জন্য। সেই মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় নওশাদ সিদ্দিকিকে। প্রত্যুত্তরে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, ’মুখ্যমন্ত্রী এই রাজ্যকে বাঁচানোর কথা বলেছেন। নওশাদ সিদ্দিকি নিজেকে ফুরফুরা শরিফের লোক ঘোষণা করে তারপর একটা রাজনৈতিক দল করেছেন। সিপিএমের সঙ্গে গিয়েছেন, এখন বিজেপির কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে দল চালাচ্ছেন। ওঁনারই তো লজ্জা হওয়া উচিত। তাই ওঁনাকে অত চিন্তা করতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রী বাংলা বাঁচানোর কথা বলেছেন। বাংলা বাঁচলে হিন্দু, মুসলমান সকলে বাঁচবেন, এই সরল তত্ত্বটুকু উনি বুঝতে পারেননি।‘
এ প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘উনি যদি এটা বিশ্বাস করতেন আরএসএস ডাকলেন কেন এখানে? পশ্চিমবঙ্গে খাল কেটে কুমির আনলেন কেন? বিভাজনের রাজনীতি কে করছে সব বুঝে গিয়েছেন মানুষ।’ অন্যদিকে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ধর্মীয় সভায় গিয়ে রাজনৈতিক ভাষণ শুনে সকলে বুঝে গিয়েছে এই লোকসভা ভোটে তাঁদের সংখ্যালঘু ভোটই হাতিয়ার। আর কোনও গতি নেই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 13 =