ভোটের চার দিন আগে থেকে পাড়ায় নাকার নিদান নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর

নিজস্ব প্রতিবেদন, আসানসোল: ভোটের চার দিন আগে থেকে নিজের নিজের পাড়ায় দলীয় কর্মীদের নাকা করার নিদান দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। শনিবার আসানসোলে রবীন্দ্রভবনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কেকেএসসি ও আইএনটিটিইউসির কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় এই নিদান দেন জেলা সভাপতি।
উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ভোটের চার দিন আগে থেকে এলাকায় এলাকায় শ্রমিক সংগঠন তথা দলীয় কর্মীদের কঠোর নজরদারি করতে হবে। কারণ এই দিনগুলিতে নিরীহ গরিব মানুষের ভোট টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করবে বিজেপি। ভিন রাজ্যের নম্বর লাগানো চারচাকা গাড়ি করে এলাকায় এলাকায় এই টাকা দিলি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তাদের এই পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে হবে।’
এদিনের সম্মেলনে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, কয়লা খনির তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মহামন্ত্রী তথা জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, আইএনটিটিইউসির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ ঘটক সহ শ্রমিক সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব।
এদিন মলয় ঘটক বলেন, ‘কেন্দ্র সরকার সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে বেসরকারিকরণ করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।’ জামুড়িয়ার বিধায়ক তথা কেকেএসসির মহামন্ত্রী হরেরাম সিং বলেন, ‘কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে একের পর এক কোলিয়ারি বন্ধ করছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। চালু থাকা বিভিন্ন কয়লা খনিকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা হচ্ছে এবং কিছু খনিকে ইতিমধ্যেই বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হয়েছে।’
আইএনটিটিইউসির পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন, ‘সমস্ত সরকারি সংস্থাকে নির্দিষ্ট একাধিক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র সরকার। সাধারণ শ্রমিকদের স্বার্থে এই পরিকল্পনা কার্যকর হতে দেবে না তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন।’ তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘তিনি অতীতে অটল বিহারী বাজপেয়ির সরকারে একনিষ্ঠ সৈনিক ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে নরেন্দ্র মোদির স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সরব হতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =