রাজীব মুখোপাধ্যায়, হাওড়া।
গত বছরের মতই এই বছরেও দুর্গা পুজোর কার্নিভালের আগে ফের আরেকবার নাম বিভ্রান্তির জেরে জেরবার হাওড়া জেলা প্রশাসন।
সেক্সসপিয়ার বলেছিলেন ‘নামে কি আসে যায়’। যদিও সেই নামের বিভ্রাট যদি জেলা প্রশাসনের শীর্ষ পদাধিকারীর হয় তাহলে অবশ্যই নামে সত্যি আসে যায়। তাই দুর্গা পুজার কার্নিভ্যালের পূর্বে জেলার প্রশাসনিক প্রধানের নাম নিয়ে শুরু হল বিভ্রান্তি। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনের অন্দরেই।
যদিও বিষয়টি যথেষ্টই গুরুতর বলেই মনে করছেন প্রশাসনের অন্যান্য কর্তা ব্যক্তিরাই।
ঘটনার সূত্রপাত গতকাল বুধবার হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিকে কেন্দ্র করে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে হাওড়া জেলা প্রশাসনের জেলা শাসকের নাম লেখা হয় ডাঃ পী. দীপপ্রিয়া। আর বিতর্কের শুরু ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়েই।
হাওড়া জেলা প্রশাসনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নতুন জেলাশাসক হিসেবে লেখা রয়েছে ডাঃ দিপাপ প্রিয়া পি (Dr. Deepap Priya P.) -র নাম। তিনি এই জেলায় আসার যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি, তাতেও রয়েছে একই নাম। এই নামটি বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ করলে দাঁড়ায় ডাঃ দীপাপ প্রিয়া পি., অথবা ডাঃ দীপপ প্রিয়া পি.। দার্জিলিংয়ের পূর্বতন জেলাশাসকদের নামের তালিকাতেও তাঁর নাম লেখা রয়েছে বাংলায়, ডাঃ দীপপ প্রিয়া পি। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমেও এই নামই বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
যদিও বুধবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ২৬ অক্টোবর হাওড়ায় যে পুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আমন্ত্রণপত্রতে ডাঃ দীপাপ প্রিয়া পি. নামটি হয়ে গেছে ডাঃ পী. দীপপ্রিয়া। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক বলেন, জেলাশাসকের নাম “ডাঃ পী. দীপপ্রিয়া”-ই। যদিও তাঁর দপ্তরেরই আরেক আধিকারিক জানান, নামটি হবে ডাঃ দীপাপ প্রিয়া পি.। জেলা প্রশাসনের অন্য একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও বলেন, তাঁরাও জানেন জেলাশাসকের নাম ডাঃ দীপাপ প্রিয়া পি.।
অতএব কার্নিভালের আগে এই নাম নিয়ে বিভ্রান্তিতে প্রশাসনিক মহলে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। কোন নামটি সঠিক, তাই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে দেওয়া নাম নাকি জেলা প্রশাসনের তরফে সংবাদিকদের আমন্ত্রণপত্রে দেওয়া নাম নাকি দুটো নামই সঠিক তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
প্রসঙ্গত, গতবছর পুজোর কার্নিভালেও নামের বানান বিভ্রাট ঘটেছিল। হাওড়া জেলা কার্নিভ্যালের সেই দুর্গা বানানটিই লেখা হয়েছিল “দূর্গা পূজা! মঞ্চের ওপরে বড় বড় করে জ্বলজ্বল করছিল সেই ভুল বানান। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। আর বছর ঘুরতেই এবছর জেলা শাসকের নামকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়ালো।