নয়াদিল্লি, ১৪ জুন: আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এবার সেনার হাতে এল আরও এক মারণাস্ত্র নাগাস্ত্রা-১। এই অত্যাধুনিক আত্মঘাতী ড্রোনটি সেনার হাতে তুলে দিয়েছে নাগপুরের সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে এক সংস্থা। মনে করা হচ্ছে, অভিনব ড্রোনটি পাকিস্তান ও চিন সীমান্তে শত্রু মোকাবিলা ছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর-সহ দেশের মধ্যে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস মোকাবিলা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অত্যাধুনিক ড্রোন নাগাস্ত্রা-১ সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এই বিশেষ ড্রোনে ‘কামিকাজে মোড’ থাকায়û ২ মিটার দূর থেকে জিপিএসের মাধ্যমে যে কোনও বিপদ এড়াতে পারবে এটি। ড্রোনটির ওজন মাত্র ৯ কেজি, যা ৩০ মিনিট ধরে টানা উড়তে পারে। মানববিহীন ড্রোনটি মানুষের কন্ট্রোলে ১৫ কিমি পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত অটোনোমাস মোডে উড়তে পারে এবং শত্রুর সন্ধানে মাটি থেকে ২০০ মিটার পর্যন্ত উড়তে পারে ড্রোনটি। ড্রোনটি û ১ কেজি পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে। দিন হোক বা রাত, যে কোনও সময় উড়তে পারে এটি।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্তে বা ভিতরে শত্রু শিবিরের ট্রেনিং ক্যাম্প সহ যে কোনও শত্রু ঘাঁটি লঞ্চপ্যাডে হামলা চালানো সম্ভব। সেনাকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি কমাতে এই অস্ত্র আরও বেশি ব্যবহার করা হবে বলেও খবর। সেই লক্ষ্যে সেনার তরফে ওই সংস্থাকে ৪৮০টি ড্রোন বানানোর বরাত দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১২০টি সেনার হাতে এসে পৌঁছেছে।