বাংলাতে মিলল ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়ান্ট বিএফ-৭ এর হদিশ। আর এই তথ্য সামনে এল রাজ্য়ের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন সামনে আসতেই। সূত্রের খবর, রাজ্যেও চার জন করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত বছর ডিসেম্বরের একেবারে গোড়ায় নদিয়ার একই পরিবারের তিন জন এবং মাঝামাঝি সময়ে একজন করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁদের সামান্য সর্দি কাশি হয়েছিল। এরপরেই তাঁরা কোভিড পরীক্ষা করান। সেখানেই জানা যায় তাঁরা কোভিড পজিটিভ। এরপর জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে জানা যায়, তাঁদের দেহে থাবা বসিয়েছে করোনার বিএফ-৭ ভ্যারিয়্যান্ট। কীভাবে তাঁদের দেহে এই ভ্যারিয়্যান্ট প্রবেশ করল তার খোঁজ করতে গিয়ে সামনে আসে বিদেশ ফেরত ছিলেন তাঁরা। যদিও তাঁদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেই কোভিড নেগেটিভ বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে গত ৩ জানুয়ারি রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের থেকে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুসারে, মঙ্গলবারের আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হন ৮ জন এবংএই কোবিডের থাবে থেকে মুক্তি পান ৫ জন। একইসহ্গে ওই বুলেটিনে এও জানানো হয়, কোভিডে সুস্থতার হার ৯৮.৯৮ শতাংশ। তবে নদিয়ার এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে বিএফ-৭ ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ভ্যারিয়্যান্ট অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের থেকে সংক্রামক বলেই ধারনা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। বিশেষজ্ঞরা এও জানান, এই ভ্যারিয়্যান্টের আর ভ্যালু ১০ থেকে ১৮.৬। অর্থাৎ একজন আক্রান্ত ১৮ থেকে ১৯ জনকে সংক্রামিত করতে পারে।
এই প্রসঙ্গে আগেই কেন্দ্র থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। মাস্ক পরা নিয়ে কোনও কড়া নিয়ম জারি না করলেও দু’জনেই সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার পরামর্শ দেন। কইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয় প্রত্যেক কোভিড পজিটিভের জিনোম সিকোয়েন্সিং বাধ্যতামূলক। কোভিড পজিটিভ হলেও তাঁরা কোন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হয়েছেন তা জানার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা আশ্বাস দিচ্ছেন, দেশে কোভিড ভ্যাকসিন পেয়েছেন সিংহভাগ মানুষই। ফলে কোভিডের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা তাঁদের অনেকাংশে বেশি।