কলকাতা: কেন অকালে ঝরে গেল তরতাজা প্রাণ? কেন পৃথিবী থেকে চলে যেতে হল টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-কে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। আর অভিনেত্রীর পরিবার একের পর এক অভিযোগ তুলছেন পল্লবীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর দিকে। মেয়ের অপমৃত্যুর জন্য তাঁর দিকেই আঙুল তুলছেন বাবা।
পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, সাগ্নিক তাঁদের মেয়েকে ঠকিয়েছে। সে বিবাহিত। তার পরেও পল্লবীর সঙ্গে লিভ ইন করছিলেন, কিছু না জানিয়েই। কিন্তু মাস ছয়েক আগে পল্লবী এ বিষয়টি জেনে ফেললে সাগ্নিক বলেন, তিনি ডিভোর্সের আবেদন করেছেন।
রবিবার সকালে গড়ফার ফ্ল্যাটে পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে কাঁটাপুকুর মর্গে তা পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, আত্মহত্যাই করেছেন পল্লবী তিনি। তবে আত্মহত্যার পেছনে কারও প্ররোচনা আছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গী সাগ্নিককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। সাগ্নিকের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রথমে পল্লবীর পরিবার সাগ্নিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জানার পর তাঁর সাগ্নিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর।
পাশাপাশি পল্লবীর মৃত্যুর পর জানা গিয়েছে, গরফায় ৮০ লাখ টাকার ফ্ল্যাটে তাঁরা থাকতেন। দুজনের ১৫ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ও ছিল।৮০ লাখি ফ্ল্যাটের টাকার বেশিরভাগটাই পল্লবী দিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর পরিবারের। নিউটাউনে ৮০ লক্ষ টাকার ফ্ল্যাটের পাশাপাশি একটি দামি গাড়িও কেনা হয়। পল্লবীর পরিবারের দাবি, সেই গাড়ির বেশিরভাগ টাকা পল্লবীই দেন।
এদিকে পুলিশকে দেওয়া বয়ানে আবার সাগ্নিক জানিয়েছিলেন, আর্থিক কারণেই প্রবল চিন্তিত ছিলেন পল্লবী। গাড়ি-সহ একাধিক জিনিস ইএমআই-তে কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু ‘মন মানে না’ সিরিয়ালের পর তেমন কোনও কাজ পাচ্ছিলেন না। তাই ইএমআই কীভাবে শোধ করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তিনি বারবার পল্লবীকে বোঝানের চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি সাগ্নিকের।