রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়া যুবতীর দেহ মিলল ভুট্টার খেতে, চাঞ্চল্য

মালদা: অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে রাতভর নিখোঁজ থাকার পর সাত সকালে ভুট্টার খেত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় এক যুবতীর ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ালো। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার হামিদপুর এলাকায়। মৃত ওই যুবতীর বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে হামিদপুর এলাকার ভুট্টার খেতের মধ্যে এই দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। আর এই ঘটনাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে ধর্ষণ করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। যদিও মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। ধর্ষণ করে খুনের বিষয়টি নিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই পরিষ্কার হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে মালদায় পঞ্চম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীর খুনের জের কাটতে না কাটতেই ফের বিবস্ত্র অবস্থায় যুবতীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জল্পনা মণ্ডল (২৫)। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার শ্রীপুর কলোনি এলাকায়। বুধবার সরস্বতী পুজোর দিন সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীপুর কলোনি এলাকায়। রাতেই এই পুজোকে ঘিরে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যায় জল্পনা মণ্ডল সবজি কাটার জন্য এক প্রতিবেশীর বাড়িতে হাঁসুয়া আনতে যায়। আর তারপর থেকেই রহস্যজনকভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই যুবতী।

পুলিশকে অভিযোগে মৃতের এক দাদা বিশ্বজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে আমরা বোনকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে রাতে একটা পংক্তিভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের সময় আমার বোন এবং অন্যান্য আত্মীয়েরা অনেক নাচানাচি করে। এরপর সবজি কাটার জন্য জল্পনা মণ্ডল হাঁসুয়া আনতে যায়। আর তারপরে নিখোঁজ হয়ে যায়। রাতভর খোঁজাখুঁজি করে বোনকে পায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়েই খোঁজাখুঁজি করতে গিয়েই বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভুট্টার খেতে বিবস্ত্র অবস্থায় বোনকে পড়ে থাকতে দেখি। ওর শরীরে বিভিন্ন অংশে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। মনে করছি বোনকে ধর্ষণ করেই খুন করেছে দুষ্কৃতীরা।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীপুর কলোনির মণ্ডল পরিবারের সঙ্গে কারোর কোনও শত্রুতা ছিল না। তবে ওই যুবতীর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। পরে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এই খুনের ঘটনার পিছনে বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ জড়িত রয়েছে কিনা সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মোথাবাড়ি থানার আইসি কুণাল কান্তি দাস জানিয়েছেন, ধর্ষণ করে খুন কিনা এখনই বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =