কামারহাটিতে একই পরিবারের তিন জনের রহস্যমৃত্যু, পুকুরে ভাইয়ের দেহ, বাকি দুই দেহ উদ্ধার ফ্ল্যাট থেকে

কলকাতা: একই দিনে, একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধার। দাদার দেহ মিলল পুকুর। তদন্ত শুরু হতেই ফ্ল্যাটের ভিতরে মিলল দিদি ও ভাইয়ের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকার এক আবাসনে।

মঙ্গলবার সকালে পাড়ার পুকুরে সজল চৌধুরীর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে সজল চৌধুরী দিদি রানু চৌধুরী ও ভাই বিমলের সঙ্গে থাকতেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান সজল চৌধুরী  দিদি ও ভাইকে খুন করে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটালেন তিনি, তা নিয়েই প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পুকুরে সজল চৌধুরীর দেহ ভাসতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেন। দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ খোঁজ-খবর নিতে তাঁর ফ্ল্যাটে যায়। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সেই দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে পুলিশ ও স্থানীয়দের। দেখা যায়, বন্ধ ফ্ল্যাটের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আরও দু’টি দেহ। স্থানীয়রা জানান, মৃতরা সজলের দিদি ও ভাই।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় খুব পরিচিত ছিল এই পরিবার। ভাই-বোনদের সঙ্গে সখ্যতাও ছিল সকলের। সজল এলাকায় চিত্র শিল্পী হিসেবে পরিচিত। পাড়ায় বাচ্চাদের আঁকা শেখাতেন তিনি। তাঁকে দেখে কখনই মনে হয়নি যে, তিনি এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন।

বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে ভাই ও দিদিকে খুন করে সজল। তারপর নিজে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু ঠিক হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ।

আর্থিক সংকট থেকেই সজল এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে এত বড় ঘটনা কেন ঘটল, তা সমস্ত দিক খোলা রেখেই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − fifteen =