কলকাতা: কলকাতায় ফের তরুণীর রহস্যমৃত্যু। যাদবপুরের ছিটকালিকাপুরে ঘর থেকে লিভ ইন সঙ্গী বের হওয়ার পরই উদ্ধার হয়েছে দেহ। গলায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। ফলে প্রাথমিকভাবে অনুমান, খুন করা হয়েছে তরুণীকে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের তত্ত্ব।
প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি খুনের নেপথ্যে ত্রিকোণ প্রেম? জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। মাস খানেক আগে যাদবপুরের ছিটকালিকাপুর এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সেখানেই থাকতেন। সূত্রের খবর, শনিবার ওই যুগলের বাড়িতে বেশ কয়েকজন এসেছিলেন। তাঁরা চলেও যান। রবিবার সকালে বাড়ির মালিক মৃতার লিভ ইন সঙ্গীকে বেরিয়ে যেতে দেখেন। পরে তরুণীর কোনও সাড়াশধ না পেয়ে স্থানীয়রা কিছু স¨েহ করেন। পরে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার গলায় শ্বাসরোধ করে খুনের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। রবিবার সকালেই ঘটনাস্থলে যান লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই শেষ বার দেখা গিয়েছিল মৃতার পুরুষ সঙ্গীকে। তারপর থেকে বেপাত্তা তিনি। এই বিষয়টাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তবে কি গোটা ঘটনার নেপথ্যে ওই যুবক? উঠছে প্রশ্ন। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। শনিবার কারা এসেছিলেন, পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে কেমন সম্পর্ক ছিল তরুণীর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনার নেপথ্যে লিভ ইন পার্টনার, নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই পুলিশকে ই-মেল করে আত্মত্যার কথা জানিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন লিভ ইন সম্পর্কে থাকা যুগল। বাঁশদ্রোণীর ওই ঘটনায় তদন্তে উঠে এসেছিল ওই দুই যুগলের আর্থিক অনটনের কথা। যুগলের একজন ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হয়েছিল তাঁদের। তবে, যাদবপুরের ঘটনায় সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।