কলকাতা: বিয়ের ঠিক। বাড়িতে হবু জামাইয়ের আসা-যাওয়া ছিল। তাই মেয়ের সঙ্গে তিনি বাড়িতে দেখা করতে আসায় আপত্তি করেননি কেউ। বরং তাঁদের একান্তেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু রবিবার ঘটল অঘটন। হবু জামাই চলে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘর থেকে উদ্ধার হল তরুণীর অচৈতন্য দেহ। চিকিতসকরা নিশ্চিত করলেন তিনি মৃত।
তরুণীর রহস্যমৃত্যু (Mystery death) নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গড়ফায় (Garfa)। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ।জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার পঙ্কজ দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। রবিবার দুপুরে তরুণীর বাড়িতে আসেন পঙ্কজ। দু’জনে একসঙ্গে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। কিন্তু পঙ্কজ চলে যেতেই ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজন দেখতে পান, তরুণী বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
তরুণীর পরিবারের তরফে পঙ্কজ দাসের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের (Murder charge) করা হয়েছে গড়ফা থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম সুস্মিতা দাস। বয়স ২৬। দুই পরিবারের সম্মতিতেই পঙ্কজের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল সুস্মিতার।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ পঙ্কজ আসেন সুস্মিতার বাড়িতে। তাঁর ঘরে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন দু’জনে। তবে তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা বলতে পারেনি পরিবারের কেউই। বিকেল চারটে নাগাদ পঙ্কজ চলে গেলে, ঘরে সুস্মিতা ডাকতে গিয়ে বাড়ির লোকজন দেখেন বিছানায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়।
মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহ ময়নাতদন্ত করার পরেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খরব।