ছাতারপুর : এক রক্ত বুকের তলে, এক সে নাড়ির টান।….
মোরা এক বৃন্তে দু’টি কুসুম হিন্দু মুসলমান লিখেছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
সেই কথাকেই কাজে প্রমাণ করে নববর্ষে এক অনন্য নজির রাখলেন ৩৬ বছরের রাফাত খান। রক্ত দিয়ে বাঁচালেন হি¨ু শিশুকে। প্রমাণ করলেন ধর্মীয় বিভাজন নয়, মনুষ্যত্বই আসল কথা। আর তাই রক্তের কোনও জাতপাত হয় না, হয় না বিভেদ।
মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরে রক্তাল্পতায় ভুগছিল ২ মাসের এক শিশু। রক্তের প্রয়োজন ছিল। হন্যে হয়ে রক্তদাতা খুঁজছিলেন শিশুর বাবা। ঠিক সেই সময়ই যেন ‘দেবদূতে’র মতো হাজির হলেন ৩৬ বছরের রাফাত খান। কোনও রকম দ্বিধা না করেই হাসি মুখে শিশুকে রক্ত দিয়ে তার প্রাণ বাঁচালেন রাফাত। তাঁর এই পদক্ষেপে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শিশুর বাবা জিতেন্দ্র। শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য দরকার ছিল এ পজিটিভ গ্রুপের রক্ত। এ জন্য হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন ওই ব্যক্তি। দালালের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু, দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতারিত হন তিনি। এর পরই রাফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জিতেন্দ্র। নমাজ পাঠের জন্য বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন রাফাত। সেই সময় ফোন পেয়েই কোনও কিছু না ভেবেই বাইকে করে দ্রুত জেলা হাসপাতালে যান। তার পর সেখানে গিয়ে রক্তদান করেন। তাঁর রক্তে প্রাণে বেঁচেছে ওই শিশুটি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জিতেন্দ্র বলেছেন, ‘রাফাতের রক্তদানের পর আমার ছেলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। উনি একেবারে দেবদূতের মতো এলেন। হাসিমুখে রক্ত দান করেছেন।’
তবে এই প্রথম বার নয়, ওর আগেও রক্তদান করেছেন রাফাত। গত ১ বছরে কমপক্ষে ১৩ বার রক্তদান করেছেন তিনি।