বুধবারের পর বৃহস্পতিবার। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার সকালেও অব্যাহত পতাকা বিড়ি কারখানায় আয়কর দপ্তরের তল্লাশি অভিযান। আয়কর দফতরের কর্মীরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে দফায় দফায় পতাকা গোষ্ঠীর সাতটি অফিসে অভিযান চালাচ্ছেন বলে সূত্রে খবর। এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে বাড়ছে উদ্বেগ।কারণ, এখনও পর্যন্ত পতাকা গোষ্ঠীর অফিস থেকে কী কী মিলল তা নিয়ে মুখ খোলেননি আয়কর দপ্তরের এই দলের কেউ। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, হিসাব বহির্ভূত প্রচুর সম্পত্তি হদিশ মিলেছে। উদ্ধার হয়েছে হিসাব বহির্ভূত বহু নগদ অর্থ। চলছে তার হিসাব-নিকাশ।অভিযান আরও কতক্ষন চলবে তারও কোন নিশ্চয়তা দেয়নি কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।এদিকে প্রত্যেক অফিসের বাইরে মোতায়েন রয়েছে সিআইএসএফ জওয়ান। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও পর্যন্ত চলছে পতাকা বিড়ি কারখানায় আয়কর দপ্তরের তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের সুতির অরঙ্গাবাদ এবং সামসেরগঞ্জের ডাকবাংলায় অবস্থিত পতাকা বিড়ি কারখানায় হঠাৎ হানা দেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি।বুধবার সারাদিন পেরিয়ে রাত অতিবাহিত হয়ে গেলেও সম্পন্ন হয়নি এই তল্লাশির কাজ। সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালেও আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা ছিলেন সুতির অরঙ্গাবাদ পতাকা বিড়ি ফ্যাক্টরির অফিসে।পাশাপাশি সামসেরগঞ্জেও দেখা যায় একই ছবি। তবে এত দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বিড়ি ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা ঘিরে স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে ছড়াচ্ছে নানা জল্পনা।
উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি ফ্যক্টরি ও বাড়ি থেকে হিসাব বহির্ভূত কয়েক কোটি টাকা ও নথি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় আয়কর দফতর। তল্লাশির পর বিধায়ক জানিয়েছিলেন, বিড়ি শ্রমিক সহ চালকলের কাজ করা বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্যই রাখা হয়েছিল ওই নগদ টাকা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। একাধিক চালকল ও শিব বিড়ি সহ একাধিক বিড়ি কারখানার মালিক এই জাকির হোসনে।