দুর্গা ঠাকুরের বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ার মধ্যে বচসা থেকে মারপিটের ঘটনা। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার পর গভীর রাতে ডিহিবায়রা মনসামাতা মিলন সংঘের মণ্ডপ থেকে কয়েক মিটার দূরে ওই ক্লাবের গুরুতর জখম এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয় রাস্তা থেকে। তারপরই মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা খুনের অভিযোগ তোলে পার্শ্ববর্তী পান পাড়া পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম সাগর থান্ডা। যদিও আরামবাগ থানার পুলিশ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে আরামবাগ থানার পুলিশ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের দিঘির ঘাটে ঠাকুর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের দুই পাড়ার মধ্যে গন্ডগোলকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল আরামবাগের ডিহিবায়রা গ্রামে। ঘটনার জেরে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় হাজির হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম সাগর থান্ডার (১৭)। সে রাজ মিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করত। বাবা সুনীল থান্ডারও একই কাজ করেন। মৃত সাগর স্থানীয় মনসা মাতা মিলন সংঘ ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ঘটনার জেরে এলাকা উত্তপ্ত। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবারের লোকজন। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। অপরদিকে পান পাড়ার বাসিন্দা রঞ্জন পান জানায়, ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে, এটা ভুল কথা। গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। প্রশাসন নিয়ে গিয়ে বিসর্জন করিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে পান পাড়ার লোক জড়িত নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় পান পাড়ার লোকজন স্থানীয় একটি দিঘির ঘাটে তাদের পাড়ার ঠাকুর বিসর্জন দিতে আসেন। আর তাতেই আপত্তি করেন দিঘির পাশাপাশি ডিহিবায়রার মনসামাতা মিলন সংঘের লোকজন আপত্তি করে। সেখানে সাগরও প্রতিবাদ করেন। তখনই উভয়ের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকায় আসে আরামবাগ থানার পুলিশ। পরে পুলিশ সাগরের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই বিষয়ে আরামবাগের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়, সন্ধ্যায় দুটি পুজো কমিটির মধ্যে গন্ডগোল হয়েছিল। কিন্তু রাত দুটো নাগাদ রাস্তা থেকে একটা অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।