ডাচ রাজনীতিক গির্ট ওয়াইল্ডার্সকে খুন করার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন। অনলাইন ভিডিয়ো পোস্ট করে ঘোষণা করেছিলেন যে খুন করতে পারবে ওয়াইল্ডার্সকে, তাকে ২১ হাজার ইউরো পুরস্কার দেবেন। ডাচ আদালতে এই জোড়া অভিযোগ নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তা সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। সেই মতো ১২ বছর জেল হল পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার খালিদ লতিফের। সোমবারই লতিফের বিরুদ্ধে রায়দান করল ডাচ আদালত। বছর তিনেক আগে এই অভিযোগ উঠেছিল লতিফের বিরুদ্ধে। ওয়াইল্ডার্স ইসলামবিরোধী মনোভাবাপন্ন। যে কারণে ৩৭ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার লতিফ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারপতি জি ভার্বিক শুনানির সময় বলেছেন, ‘কেউ একজন ওয়াইল্ডার্সকে খুন করার জন্য লোকজনের মনোযোগ কাড়ছে, ব্যাপারটা এ ভাবে ভাবার নয়। অভিযুক্ত খুব ভালো করে জানে যে, তার এই আবেদন অনেককেই ওয়াইল্ডর্সকে খুন করার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলেছিল।’ নেদারল্যান্ডসের রাজনীতির অন্যতম মুখ ওয়াইল্ডার্স। শুধু তাই নয়, ইউরোপের রাজনীতিতেও অন্যন্ত পরিচিত মুখ। ৫৯ বছরের এই রাজনীতিক নানা সময় নানা বিতর্কে পড়েছেন। তাঁর ইসলাম বিরোধী মনোভাব যে কারণে চর্চার বিষয় থেকেছে দীর্ঘ সময় ধরে। তাঁর এই মনোভাব ওই দেশেও সমালোচনার মুখে পড়েছে নানা সময়। তাতেও নিজের মনোভাব পাল্টাননি। নেদারল্যান্ডসের মূল বিরোধী নেতা তিনি। যে কারণে ২০০৪ সাল থেকে তাঁকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের হয়ে খুব একটা উজ্জ্বল কেরিয়ার নয় লতিফের। ১৩টা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু ২০১৭ সালে স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত হয়ে যান লতিফ। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছেন। ৫টা ওয়ান ডে ম্যাচেও দেখা গিয়েছে লতিফকে। নেদারল্যান্ডসে খুনের অভিযোগ উঠলেও পাকিস্তান সরকার কিন্তু এ নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেনি।