কলকাতা: পুর পরিষেবা দিতে আম জনমতার দুয়ারেই এবার হাজির হবেন পুরকর্মীরা। বাচ্চার বার্থ সার্টিফিকেটে নামের বানান পরিবর্তন থেকে মিউটেশন। পুরসভা সংক্রান্ত নানা কাজ করাতে আর ছুটতে হবে না পুর নাগরিকদের। বরং প্রতিটি ওয়ার্ডে হাজির হবেন পুরসভার অফিসার ও কর্মীরা।
বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ট্যাক্স থেকে শুরু করে অ্যাসেসমেন্ট, নানাবিধ কাজের জন্য মানুষকে পুরসভায় যোগাযোগ করতে হয়। বয়স্ক মানুষদের পক্ষে সবসময় পুরসভায় আসা সম্ভব হয় না। অভিযোগ বা সমস্যা থাকলে তার সমাধানের জন্য চালু হয়েছে টক টু মেয়র। কিন্তু কলকাতার কয়েক লক্ষ মানুষের ফোন ধরা সম্ভব হয় না মেয়রের পক্ষে। বাধ্য হয়েই অনেকে কাজ করাতে দালালের শরণাপন্ন হন। তার ফলে একদিকে যেমন কলকাতা পুরসভার আয় কম হয় সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়। তাই এবার প্রতিটি ওয়ার্ডের বাড়িতে বাড়িতে যাবেন আধিকারিকরা। খতিয়ে দেখা হবে সমস্ত নথি।অনেক পরিত্যক্ত জমির অ্যাসেসমেন্ট হয়নি। অনেক জমিতে জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। মশা-মাছির আঁতুরঘর তেমন জমি নিয়ে অভিযোগ আসে অগুনতি। কিন্তু কার নামে জমি তা অজানা থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। এবার পুর আধিকারিকরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। বাড়ির মিউটেশন হয়েছে কিনা দেখা হবে তাও।
মেয়র জানিয়েছেন, অ্যাসেসমেন্ট কিম্বা মিউটেশনের কাজ করে জমি, বাড়ির মালিকের হাতে তার শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বাস্থ্যসাথীর মতো কার্ড না থাকলেও তা বাড়ি গিয়ে করে দেবেন পুর আধিকারিকরা। যাদের বাড়িতে গিয়ে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে তাদের থেকে একটা সামান্য টাকা সার্ভিস চার্জ হিসেবে নেবে কলকাতা পুরসংস্থা।