‘পঞ্জাবের বাঘ’-এর মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিল মুম্বই

মুল্লানপুরে জমে গেল পঞ্জাব-মুম্বইয়ের আইপিএল ম্যাচ। শেষ ওভারে গিয়ে ফয়সলা হল ম্যাচের। বলতেই হবে ব্রিলিয়ান্ট বুমরার দাপটে পঞ্জাবের ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একইসঙ্গে পঞ্জাবের বাঘ আশুতোষ শর্মার কথা না বললেই নয়। জেরাল্ড কোৎজে ভাগ্যিস তাঁকে পঞ্জাবের ইনিংসের শেষ অবধি থাকতে দেননি। না হলে রোহিত শর্মার ২৫০তম আইপিএল ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে হাসি ফুটত না। এই ম্যাচের রোহিতের মাইলফলক ম্যাচ ঠিকই, তাতে ছাপ রাখলেন মুম্বইয়ের হয়ে বল হাতে বুম বুমরা বুমরা এবং ব্যাট হাতে সূর্যকুমার যাদব ছাপ রাখলেন।

ঘরের মাঠে টস জিতে প্রথমে রোহিত-হার্দিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন পঞ্জাব কিংসের ক্যাপ্টেন স্যাম কারান। প্রথমে ব্যাটিং করে সূর্যকুমার যাদবের ৭৮ রানের সুবাদে স্কোরবোর্ডে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৯৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পঞ্জাব কিংস।

পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রীতির পঞ্জাব। তখন থেকেই মুম্বইয়ের অনুরাগীরা জয়ের গন্ধ পাচ্ছিলেন। একটা সময় পঞ্জাবের ৪৯ রানে ৫ উইকেট তুলে ফেলেছিলেন জসপ্রীত বুমরা, জেরাল্ড কোৎজেরা। এরপর শশাঙ্ক সিং ২৫ বলে ৪১ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দেন। তিনি কখনও হরপ্রীত সিং, কখনও জীতেশ শর্মা এবং সবশেষে আশুতোষ শর্মার সঙ্গে জুটি বাঁধেন। মুম্বইয়ের অনুরাগীদের মনে শুরু হয় ধুকপুকানি। এরপর ১৩তম ওভারে নতুন স্পেলে শশাঙ্ক সিংয়ের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন জসপ্রীত বুমরা।

ম্যাচের তিন ওভার বাকি থাকাকালীন পঞ্জাবের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন আশুতোষ শর্মা। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে পঞ্জাবের বাঘের উইকেট তুলে নেন জেরাল্ড কোৎজে। ২৮ বলে ৬১ রানের ধুম ধাড়াকা ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন আশুতোষ শর্মা। এই আশুতোষ যদি শেষ অবধি ক্রিজে থাকতে পারতেন, তা হলে মুম্বইয়ের মুখের সামনে থেকে জয় ছিনিয়ে পঞ্জাব শিবিরে হাসি ফোটাতে পারতেন। কিন্তু তা আর হল কই!

শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য পঞ্জাবের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন মুম্বইয়ের ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। ওই ওভারের চতুর্থ বলে হরপ্রীত ব্রারের উইকেট তুলে নেন হার্দিক। বাউন্ডারি লাইনের সামনে ক্যাচ নেন মহম্মদ নবি। ২১ রানে ফেরেন হরপ্রীত। এরপর শেষ ওভারে পঞ্জাবের টার্গেট দাঁড়ায় ১২ রান। কিন্তু হাতে উইকেট একটিই ছিল। ২০তম ওভারের জন্য আকাশ মাধওয়ালকে বল তুলে দেন হার্দিক। প্রথম বলটি ওয়াইড দেন আকাশ। এর পরের বলে কাগিসো রাবাডা সিঙ্গল নেন। কিন্তু মহম্মদ নবির থ্রোতে স্টাম্পে বল ছুইয়ে দেন ঈশান। রান আউট হন রাবাডা। সেই সঙ্গে মুম্বই ৫ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − four =