ঘরের মাঠে ম্যাচ। তাতেও অবশ্য ভাগ্য ফিরল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। গত মরসুমে ১০ দলের মধ্যে সবার শেষে ছিল আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল। এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছিল তারা। তরুণদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু অধিনায়ক নিজেই ভরসা দিতে পারেননি। চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে এক পেশে ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছিল রোহিত শর্মার দল। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছেও এক তরফা ম্যাচ এবং হার মুম্বইয়ের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হলুদ জার্সির দাপট দেখা গেল। বোলিংয়ে রবীন্দ্র জাডেজা, ব্যাটিংয়ে তেমনই অভিজ্ঞ অজিঙ্ক রাহানে। চোট থাকায় বেন স্টোকস, মইন আলিকে খেলাননি মাহি। তাদের অভাব বুঝতেই দিলেন না বাকিরা। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা! এ যেন কঠিন প্রশ্ন। রবীন্দ্র জাডেজার স্পেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তবে ভুললে চলবে না তাঁর ক্যাচের কথা। জোরালো শট মেরেছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। বোলিং প্রান্তে রবীন্দ্র জাডেজা। রিয়্যাকশন টাইম এক সেকেন্ডেরও অর্ধের। এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্যাচ জাড্ডুর। আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি অল্পের জন্য আহত হওয়া থেকে বাঁচেন। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট রবীন্দ্র জাডেজার। তেমনই অবিশ্বাস্য অজিঙ্ক রাহানে। এ মরসুমের দ্রুততম অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাটেই। সব মিলিয়ে ওয়াংখেড়েতে আরও একটা স্মরণীয় জয় মহেন্দ্র সিং ধোনির। এই ম্যাচেও আইপিএল ডেবিউ হল না অর্জুন তেন্ডুলকরের। টানা তিন বছর ধরে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে রয়েছেন অর্জুন। কিন্তু এখনও আইপিএলে খেলার কপাল খোলেনি অর্জুনের। গত কয়েকটা বছর ধরে রোহিত শর্মার দলে নিয়মিত নেটে ভালো পারফর্ম করে চলেছেন অর্জুন। বাবা সচিন তেন্ডুলকর এখনও মুম্বই দলের সঙ্গে যুক্ত। তা সত্ত্বেও অর্জুনকে খেলায়নি মুম্বই। বাবা হিসেবে সচিন নিজেও আলাদা কোনও উদ্যোগ নেননি। বরং অর্জুনকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ফলের আশা করো না। বাবার কথা মতো অর্জুন পরিশ্রম করে গিয়েছেন। কিন্তু আইপিএল অভিষেকের সুযোগ পাননি। আইপিএলের গত মরসুমেও একাধিক ক্রিকেট প্রেমীরা চেয়েছিলেন অর্জুনের অভিষেক দেখতে। আদতে তা হয়নি। চলতি মরসুমে নেটে দারুণ পারফর্ম করে ক্যাপ্টেনের নজর কেড়েছেন অর্জুন। আজ, ধোনির দলের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের সাবস্টিটিউট হিসেবে ছিলেন সচিনপুত্র। আরও কতদিন অপেক্ষা করতে হয় সেটাই দেখার৷