প্রথম জয় পেল মুম্বই, টানা চার ম্যাচে ব্যর্থ দাদার দিল্লি

আজও সেই রক্তচাপ বাড়ানো আরও এক আইপিএল ম্যাচের সাক্ষী থাকলো দর্শকরা৷ কী হয়, কী হয় ভাব যেন আর কাটতেই চাইছে না এবার আইপিএল ম্যাচগুলোতে৷ আজও তার ব্যতিক্রম হল না৷ শেষ বল পর্যন্ত বজায় রইল নাটক৷ অবশেষে যবনিকা পতন, রোহিতের অর্ধশতরান এবং শেষ বলে জীবন বাজি রেখে দু’রান নিয়ে চলতি আইপিএলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই৷ আর টানা চার ম্যাচে হারার রেকর্ড করে ফেলল দিল্লি৷ স্কোর বোর্ড বলছে, ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পরিস্থিতি এমন ছিল না। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। দিল্লি ইনিংসে ডেভিড ওয়ার্নার এক দিক সামাল দিলেও উল্টো দিক থেকে উইকেট পড়তে থাকে। স্পিনারদের অনবদ্য পারফরম্য়ান্স। দিল্লি ইনিংসকে গতি দেন অক্ষর প্যাটেল। আইপিএলে কেরিয়ারের প্রথম অর্ধশতরান করলেন অক্ষর। ২৩ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছান তিনি। তারপরও ২০ ওভার ব্যাট করতে ব্যর্থ দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৯তম ওভারে ৪ উইকেট হারায় দিল্লি। শেষ অবধি ১৯.৪ ওভারে ১৭২ রানেই অলআউট। মরসুমের প্রথম জয়ের খোঁজে ছিল দু-দলই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। ঈশান কিষাণ এবং রোহিত শর্মা জুটির ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, ১৫ ওভারের মধ্যেই জয় ছিনিয়ে নেবে মুম্বই। কিন্তু অধিনায়কের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ঈশান রান আউট। ৭১ রানে জুটি ভাঙে। সেখান থেকে ম্যাচ শেষ ওভার অবধি গড়াবে কেউই হয়তো ভাবেননি। মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচে রোহিত শর্মাকে ফেরান অভিষেক পোড়েল। এটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। শেষ ওভারে ৫ রান প্রয়োজন ছিল মুম্বইয়ের। প্রথম বলেই ক্যাচ ফসকান মুকেশ কুমার। শেষ বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২ রান। ডেভিড ওয়ার্নারের থ্রো ঠিকঠাক এলে হয়তো সুপার ওভারেও যেতে পারত ম্যাচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − two =