সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ভারত। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্লে-অফের দৌড় থেকে অনেক আগেই ছিটকে গিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জটিল অঙ্কে লখনউ সুপার জায়ান্টস। দু-দলের কাছেই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটা ছিল শুধুই মর্যাদার। তবে ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা প্লেয়ারদের কাছে এটি প্রস্তুতি ম্যাচের মতোই। শেষ ম্যাচে ১৮ রানের জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের। মুম্বইয়ের প্রাপ্তি নমন ধীরের মতো তরুণ ব্যাটারের অনবদ্য ইনিংস। ভারতের প্রাপ্তি হিটম্যান শো।
ওয়াংখেড়েতে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর কাছে হতাশার মরসুম। নানা দিক থেকেই। শেষ মুহূর্তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছিলেন। আইপিএল কেরিয়ারের প্রথম জার্সি গায়ে চাপিয়ে বলতে পেরেছিলেন, ঘরের ফেরার অনুভূতি হচ্ছে তাঁর। হার্দিককে মন থেকে যেন স্বাগত জানাতে পারেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সমর্থকরা। নানা ম্যাচেই বিদ্রুপের সামনে পড়তে হয়েছে। তাঁর কাছে সুযোগ ছিল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বে সকলের মন জেতার। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
বোলিংয়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। ১০ ওভারের মধ্যেই ৬৯ রানে প্রতিপক্ষের তৃতীয় উইকেট নেওয়া ভালো দিক। যদিও ১৫ ওভারের পর ইনিংসের রূপ বদলে দেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। নিকোলাস পুরান আরও একটা অনবদ্য ইনিংস খেলেন। ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল হাফসেঞ্চুরি করলেও ইনিংসের গতি বাড়াতে পারেননি। পুরান মাত্র ২৯ বলে ৭৫ রান করেন। শেষ অবধি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ২১৫ রানের বিশাল টার্গেট দেয় লখনউ।
মুম্বই বোলিং লাইন আপে এই ম্যাচে বদল হয়েছিল। নিয়মরক্ষার ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় জসপ্রীত বুমরাকে। তাঁর পরিবর্তে বাঁ হাতি পেসার অর্জুন তেন্ডুলকর মরসুমের প্রথম ম্যাচ খেললেন। প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়েছিলেন সচিনপুত্র। কিন্তু স্লগ ওভারে অস্বস্তিতে পড়লেন। রান আপেই অস্বস্তিতে দেখায়। দুটো ডেলিভারি, নিকোলাস পুরান পরপর দুটি ছয় মারেন। চোটের জন্য ওভার সম্পূর্ণ করতে পারেননি।
বোর্ডে ২১৫ রানের টার্গেট। ব্যাটিং কম্বিনেশনেও বদল আনে মুম্বই। রোহিতের ওপেনিং পার্টনার ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি রোহিত শর্মার পারফরম্যান্স। এ মরসুমে একটি সেঞ্চুরি ছিল। বাকি ম্যাচে ছন্দে দেখায়নি। বিশ্বকাপের আগে জ্বলে উঠলেন হিটম্যান। মাত্র ৩৮ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৭৯! শুধু তাই নয়, ১০টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ছয়।
রোহিত ভরসা দিলেও বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা স্কাই ফিরলেন খালি হাতেই। তিন বল স্থায়ী হয় তাঁর ইনিংস। অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া বল হাতে ২ ওভারে দেন ২৭ রান। ব্যাট হাতে ১৩ বলে ১৬ রান। পুরো টুর্নামেন্টেই হার্দিকের যা পারফরম্যান্স, টিম ইন্ডিয়ার ভাইস ক্যাপ্টেন বিশ্বকাপে জাতীয় দলের জার্সিতে ফর্মে ফিরবেন তো? এই প্রশ্নটাই যেন ঘুরছে।