সেই ট্র্যাডিশন! মন্থর শুরু এরপর দাপট। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বারও শুরুটা মন্থর হয়েছিল। সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল, রোহিত শর্মার ফর্ম। এরপরও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জয়ের পথে ফিরেছিল। অপেক্ষা ছিল রোহিতের ফর্মে ফেরার। গত ম্যাচে ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। দুর্দান্ত পুল শটে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রোহিত ফের ফর্মে। হায়দরাবাদের ঘরের মাঠেও ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস। টানা দু-ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি ‘হিট’ম্যানের। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট টেবলে তিনে উঠে এল।
যে পিচে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে বিশাল রান তাড়া করে জিতেছিল সানরাইজার্স, সেই পিচেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে খেলা হল। কিন্তু মুম্বই বোলারদের সামনে পাওয়ার প্লে-তে অসহায় আত্মসমর্পন। পাওয়ার প্লে-তেই মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট হারায় সানরাইজার্স। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। হেনরিখ ক্লাসেন এবং ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামা অভিনব মনোহরের সৌজন্যে শেষ অবধি ৮ উইকেটে ১৪৩ রান তোলে সানরাইজার্স। এই পিচে যে স্কোর খুবই ছোট, বুঝতে সমস্যা হয় না।
রান তাড়ায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটাও ভালো হয়নি। নিজের বোলিংয়ে দুর্দান্ত ক্যাচে রায়ান রিকলটনকে ফেরান জয়দেব উনাদকাট। ব্যাটিংয়েই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ব্যবহার করায় বোলিংয়ে আর সামিকে নামানোর সুযোগ পায়নি সানরাজার্স। তার উপর ছন্দে থাকা রোহিত শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিং। তিনে নামা উইল জ্যাকস ১৯ বলে ২২ রানে ফিরলেও রোহিতকে যোগ্য সঙ্গ দেন সূর্যকুমার যাদব। জয়ের দোরগোড়ায় ফেরেন রোহিত। ৪৬ বলে ৭০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। স্কাই ১৯ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন।