ডেঙ্গুতে আক্রান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের একাধিক আবাসিক। এই রকম এক পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস করানো যায় কিনা ভাবনা চিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, এমনটাই সূত্রে খবর।
এদিকে মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ জানান, ইতিমধ্যেই ৮-৯ জন আবাসিক আক্রান্ত হয়েছেন। সঙ্গে এও জানান, অফলাইন ক্লাস চলতে থাকলে ডেঙ্গি আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়িয়ে পড়া রুখতে অনলাইনে ক্লাস করানো যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে, বলেও জানান উপাচার্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ১২ জন পড়ুয়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বারো ঘণ্টায় দশজন জ্বরে আক্রান্ত। এর মধ্যে ছয়জন পড়েছেন ডেঙ্গুর কবলে। সোমবার দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হস্টেলগুলিতে পড়ুয়াদের পাশাপাশি স্টাফ কোয়ার্টার থেকেও ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
রাজ্যের একাধিক জেলার পাশাপাশি কলকাতাতেও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। শহরের ১৬টি বোরোর মধ্যে প্রায় প্রত্যেকটি বোরো থেকেই কমবেশি আক্রান্তের খবর উঠে আসছে। এর মধ্যে ১৬ নম্বর বোরো এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চিত্ন বাড়িয়েছে কলকাতা পুরসভার। ডেঙ্গু রোধে কলকাতা পুরসভায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলেই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে পাওয়া খবর অনুসারে রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ডেঙ্গুর গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। সবথেকে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি জেলা। এমনকি, উত্তরবঙ্গের মালদাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সাত জেলাকে ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। সাত জেলার জেলাশাসককে ডেঙ্গু রোধে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানা গিয়েছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ বছর ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯৪০০ জন। সব মিলিয়ে পুজোর আগে ডেঙ্গি বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকারের। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভায় তরফে।