একাধিক ক্যাচ মিস, উইকেটহীন শামি ! ত্রিপুরার বিরুদ্ধে এক পয়েন্টেই খুশি থাকতে হলো বাংলা দলকে

আগরতলায় ত্রিপুরার বিরুদ্ধে রনজির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের স্বপ্ন দেখেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হল বাংলাকে। যে ম্যাচ থেকে একসময় পুরো পয়েন্টের আশায় বুক বেঁধেছিল অভিষেক পোড়েলের দল, সেই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে হল তাদের। বৃষ্টিবিঘ্নিত চার দিনের এই ম্যাচে একদিকে যেমন ব্যর্থ হল বাংলার ব্যাটিং লাইন-আপ, তেমনি উইকেটশূন্য থেকে গেলেন দলের অভিজ্ঞ পেসার মহম্মদ শামি। প্রথম ইনিংসে বাংলা ব্যাট করতে নেমে অলআউট হয় ৩৩৬ রানে। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও একাই লড়লেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ধৈর্যশীল ১০৮ রানের ইনিংস বাংলাকে লড়াইয়ের জায়গায় রাখে। সাকির গান্ধীও খেললেন কার্যকরী ৯৫ রানের ইনিংস। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় বড় লিড নেওয়া সম্ভব হয়নি। জবাবে ত্রিপুরাকে একসময় ৫৩/৫ করে চাপে ফেলে দিয়েছিল বাংলা। আগুনে বোলিং করছিলেন মহম্মদ কাইফ। তিনি শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট তুলে নেন। পাশে ছিলেন ঈশান পোড়েল (৩) এবং রাহুল প্রসাদ (২)। কিন্তু হনুমা বিহারী ও বিজয় শঙ্করের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ায় ত্রিপুরা। তৃতীয় দিনের শেষে হনুমা অপরাজিত ছিলেন ১২১ রানে। চতুর্থ দিনে তিনি আউট হলেও ত্রিপুরা তখন বাংলার থেকে মাত্র ১৬ রানে পিছিয়ে। সেই মুহূর্তে বাংলার হাতে ছিল জয়ের সুযোগ, কিন্তু অধিনায়ক মণিশঙ্কর মুরাসিংয়ের অটল ইনিংস সেই আশা শেষ করে দেয়। মুরাসিং ১০২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে এগিয়ে দেন। শেষ দিকে ১০ নম্বরে নেমে রানা দত্তের ২৭ রানের ইনিংসও ছিল কার্যকরী। ফলে ত্রিপুরা ৩৮৫ রানে অলআউট হয়। বাংলার পক্ষে শামি ২৫ ওভার বল করেও উইকেট পাননি—যা দলের হতাশা আরও বাড়ায়।এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে বাংলা। কিন্তু বৃষ্টি ও সময়ের অভাবে ম্যাচের ফল নির্ধারণের সুযোগ মিলল না। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ৯০ রানে থেমে যায় খেলা, এবং ড্র ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ শেষে বাংলার অধিনায়ক অভিষেক পোড়েল স্বীকার করেন, “ক্যাচ মিস আর সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় জয় মাটিতে মিশে গেল।” ফলে তিন পয়েন্টের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে, মাত্র এক পয়েন্ট নিয়েই আগরতলা থেকে ফিরতে হয় বাংলাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =