বাংলার ইতিহাসে আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার, সৌরভকে ছাপিয়েও উচ্ছাসহীন মুকেশ

পরিশ্রম করলে স্বপ্ন সফল হয়। কিন্তু এভাবে মুকেশ কুমারের স্বপ্নটা বিশাল সাফল্য লাভ করবে তিনি নিজেও হয়তো বুঝতে পারেননি। শুক্রবার তার জীবনে নতুন একটা দিশা খুলে দিয়েছে আইপিএলের মিনি নিলাম।রিহ্যাব সেরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাদেমিতে নিজের ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাত্ই বন্ধুর ফোন। ‘হ্যালো’ বলতেই উল্টোদিক থেকে ভেসে এল অভিনন্দনবার্তা।

তখনও বিষয়টি ঠাওর করতে পারছিলেন না মুকেশ কুমার। বন্ধুই শোনাল সুখবর, আরে তুই তো কোটিপতি হয়ে গিয়েছিস! আইপিএলের নিলামে তোকে নিয়ে তো রীতিমতো লড়াই চলছে। তড়িঘড়ি টিভি খুলে বাংলার পেসার দেখেন, তাঁকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকায় দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস! বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে আইপিএলে সবচেয়ে দামি এখন মুকেশ। এতদিন সৌরভ গাঙ্গুলির ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকাই ছিল আইপিএলে বাংলার কোনও ক্রিকেটারের সর্বাধিক মূল্য।

তার এক কোটিরও বেশি টাকা পাচ্ছেন মুকেশ। আবেগ আর উচ্ছ্বাসে কার্যত ভাষাই হারিয়ে ফেলেন ডানহাতি পেসার। মোবাইলেও তার রেশ ধরা পড়ল, দিল্লি আমায় এত টাকা দিয়ে কিনেছে! বিশ্বাসই হচ্ছিল না। হাতে চিমটি কেটে দেখছিলাম, স্বপ্ন নয় তো। এরপরই মাকে ফোন করে খবরটা জানাই। পরিবারের প্রত্যেকে খুব খুশি। সত্যি বলতে কত টাকায় বিক্রি হয়েছি, সেটা বড় ব্যাপার নয়। আইপিএলে খেলব, এটা ভেবেই দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। মুকেশের বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জে। তবে রনজিতে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করেন। চলতি বছরে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে নজরকাড়া পারফরম্যান্সের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট স্কোয়াডেও ডাক পান। তবে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে এখন রিহ্যাবে রয়েছেন তিনি। মুকেশ মনে করেন যে দাম তিনি পেয়েছেন সেটা পারফরমেন্সের মাধ্যমে মাঠে তুলে ধরাই আসল চ্যালেঞ্জ। এই সুযোগ তাকে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার আরো কাছাকাছি নিয়ে যাবে। তাই খুশি হলেও নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকছেন বাংলার ফাস্ট বোলার।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − three =