সিঙ্গুরে ভোট প্রচারে বের হয়ে ক্ষোভের মুখে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়

হুগলি: এবার ভোট প্রচারে বের হয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে হুগলি লোকসভার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে একাধিক প্রার্থীর সমর্থনে সিঙ্গুরে বিভিন্ন গ্রামে প্রচারে যান লকেট। আথালিয়া গ্রামে লকেট পৌঁছতেই জড়ো হন গ্রামের মানুষ। সাধরণ মানুষের অভিযোগ শুনছিলেন সাংসদ। প্রবীণ ব্যক্তিরা বার্ধক্য ভাতা পাননি, অনেকে ঘর পাননি সেই ক্ষোভের কথা শোনাচ্ছিলেন সাংসদকে।
গ্রামের মানুষের অভিযোগ শোনার পর শাসকের ঘাড়ে যখন দোষ চাপাচ্ছিলেন তিনি, সেই সময় প্রবীণ এক ব্যক্তি লোকেটের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোঁড়েন, ‘ভোটের সময় এসে বললে হবে না, আমার অনেক বয়স, লেখা পড়া জানি না। আগে থেকে এসব খোঁজ খবর নিতে হয়। শুধু ভোটের সময় বললে হয় না।’ এর উত্তরে লোকেট বলেন এখন তৃণমূল সরকার চলছে। লকেটকে পাল্টা বৃদ্ধ বলেন, হাজার তৃণমূল সরকার চালাক, বিজেপি বা সিপিএমের তো দেখা দরকার ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সরকারি আবাস যোজনায় ঘর পায়নি। বার্ধক্য ভাতা পান না। এছাড়াও বহু সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এলাকার বহু মানুষ। এই সমস্যাগুলো কেউ দেখে না। কেবল ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেন। এই বিষয়ে সাংসদ লকেট গ্রামবাসীদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেন, এটা ওদের স্বাভাবিক। ওরা ভাবছে সাংসদ আছে সব হয়ে যাবে। কিন্তু তারা জানে না সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্য সরকারের হাত দিয়ে আসে। তারা পাচ্ছে না এবং তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। যদিও তাদের বোঝানো আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যতক্ষণ না আমাদের সরকার আসছে ততক্ষণ আমরা যারা সাংসদ আছি কাজ করতে পারব না। অপরদিকে এই বিষয়ে সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, লোকসভা ভোটের আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু দু-একটা লাইট ছাড়া কোনওটাই তিনি কার্যকারী করেননি। তৃণমূল সদস্যরা কাজ করেনি এ কথা কেউ বলতে পারবে না। উন্নয়ন যথেষ্টই হয়েছে। ঘর না পাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের বিষয় আর বার্ধক্য ভাতা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার তারাও কোনও টাকা দেয়নি। সবমিলিয়ে এদিন সিঙ্গুরে ভোট প্রচারে এসে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ক্ষোভের মুখে পড়ায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + eighteen =