নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: ওড়িশার বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় শুক্রবার কটকে মারা যান ভাতারের ভাটাকুলের এক পরিযায়ী শ্রমিক। শনিবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সাংসদ।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের ভাটাকুল গ্রামের খোকন শেখ রাজমিস্ত্রির কাজ করতে দক্ষিণ ভারতে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার দিন তিনি করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এরপর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, খোকন শেখ কটকের হাসপাতালে রয়েছেন। কিন্তু খোকন শেখের সঙ্গে পরিবারের লোকজনদের কোনও কথা হয়নি। কারণ দুর্ঘটনার পর তিনি আর কথা বলতে পারেননি। শুক্রবার তিনি কটক হাসপাতালে মারা যান।
তাঁর স্ত্রী বুলটি খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া আমাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রেখেছিলেন। পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করেছিলেন।’ তিনি জানান, গতকাল যখন তাঁর স্বামী মারা যান। রেল দপ্তর তাঁর মৃতদেহ ট্রেনে করে আনার ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া একটি অ্যাম্বুল্যান্স ও একটি চার চাকা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়ে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দেন। পাশাপাশি তিনি শনিবার মৃত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ভাতারের ভাটাকুল গ্রামে পৌঁছন।
সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া জানিয়েছেন, তিনি ভাতারের সমস্ত আহত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁদের খোঁজখবর নিয়েছেন। খোকন শেখের খবর শুনে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন। এরপর রেল দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি কটক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দু’মাস ধরে তিনি জীবন যুদ্ধ করছিলেন, কিন্তু শুক্রবার তিনি যুদ্ধে হার মানেন। শুক্রবারই তিনি ওনার মৃতদেহ বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করেন। শনিবার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর দাবি, আগামী দিনে মৃত ওই শ্রমিকের পরিবারের পাশে থাকবেন ও পরিবারের কাউকে কোনও চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া যায় কি না, সে চেষ্টা করবেন। মৃত শ্রমিকের দু’টি ছেলের পড়াশোনার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। সাংসদের আশ্বাসে খুশি খোকন শেখের পরিবারের সদস্যরা সহ এলাকার মানুষ।