বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান। কথিত আছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলো থেকে সুতো বের করে বস্ত্র তৈরি করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করতে হয়। যদিও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, কঠিন চীবর দান করতে পারলে ইহকাল ও পরকালে নির্বাণ তথা মুক্তিলাভ করা সম্ভব। ‘বোধিবিহার’ শ্যামনগর শাখার তরফে রবিবার ঘটা করেই আয়োজিত হল ৫৯ তম ‘কঠিন চীবর দানোৎসব।’ ভাটপাড়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর বড়ুয়া পাড়ায় বৌদ্ধ মন্দিরে আয়োজিত কঠিন চীবর দান উৎসবে এদিন বিকেলে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের জনপ্রিয় সাংসদ অর্জুন সিং।
এদিন বোধিবিহার শ্যামনগর শাখার তরফে সাংসদের কাছে শবদাহ বহনকারী গাড়ির দাবি করা হয়। সেই দাবি মেনে জনদরদী সাংসদ অর্জুন সিং বোধিবিহার শ্যামনগর শাখাকে সেই গাড়ি প্রদানের আশ্বাস দিলেন। এদিন সাংসদ বলেন, শ্যামনগর বড়ুয়া পাড়ার বৌদ্ধ মন্দির শান্তির জায়গা। তাছাড়া তিনি গয়া ও সামনাথের বৌদ্ধ মন্দির দর্শন করেছেন। এমনকী, থাইল্যান্ডে পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বৌদ্ধ মন্দিরও তিনি দর্শন করেছেন। সাংসদ ছাড়াও কঠিন চীবর দানোৎসবে হাজির ছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার সিআইসি হিমাংশু সরকার, ভাটপাড়ার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সোমনাথ তালুকদার-সহ বিশিষ্টজনেরা।