পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি নিয়ে আদালতের দারস্থ সাংসদ আবু হাসেন খান চৌধুরী। সূত্রে খবর, সোমবার এই ইস্যুতে মামলা করতে কলকাতা হাইকোর্টে যান কংগ্রেসের এই সাংসদ। অন লাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সুবিধা-সহ ছয় দফায় নির্বাচন করার আবেদন জানান তিনি। মনোনয়ন জমার দিন থেকে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে, তারও আবেদন জানান তিনি। সঙ্গে প্রার্থীদের নিরাপত্তা। একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নজরদারিতে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আর্জি জানান তিনি। এদিন আবু হাসেন খান চৌধুরী তাঁর আবেদনপত্রে ৬ দফায় ভোটগ্রহণের পাশাপাশি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, সব বুথে ভিডিয়োগ্রাফি করানোর দাবিও তোলেন তিনি। সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতির এজলাসে আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভবনা রয়েছে।
এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি কমিশন। তবে তার আগে থেকেই নির্বাচনে অশান্তির আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা। তাই বাড়তি সতর্কতা নিতে আগে থেকেই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। রাজ্য পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি তুলে গত ডিসেম্বর মাসেই হাই কোর্টে দ্বারস্থ হতে দেখা গেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠু পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবিতে আদালতে দায়ের করেন জনস্বার্থ মামলা। কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই নয়, পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে এক গুচ্ছ দাবির উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালে। তার আগে ২০১৩ সালে। ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি ছাড়াই পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। সেবার যথেষ্ট হিংসা, বেনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। ভোট লুঠ, রিগিং, মনোনয়নপত্র জমা না দিতে পারা, বুথ দখল, প্রার্থী তুলে নেওয়ার হুমকি, প্রচারে বাধা সংক্রান্ত শয়ে শয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির দায় কিছুটা স্বীকারও করে নিয়েছিল কমিশন। ভোটে ‘হিংসা’র প্রসঙ্গ টেনে এনে শুভেন্দু কলকাতা হাই কোর্টে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে দ্বারস্থ হন।