এতদিন হুঁশ ফেরেনি। শাসক দলের নেতা আসবে বলে হুঁশ ফিরেছে। বেহাল রাস্তাগুলিতে তালিতাপ্পা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা দেখা যাচ্ছে আরামবাগ মহকুমার যে রাস্তা দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় যাবে সেই সব রাস্তাগুলিতে মেরামত চলছে। যাতে করে বেহাল খানাখ¨ে ভরা রাস্তা দিয়ে কনভয় যাবার সময় গাড়ি না আটকে যায়। আর তাতে যদি বাংলার যুবরাজ চটে যান তাহলে তো হিতে বিপরীত অবস্থা। ‘রাজা তোর কাপড় কোথায়’ বলবে কে? রাস্তা তৈরির টাকা সবই তো তৃণমূল নেতাদের পকেটে। কাটমানির টাকা হিসাবে পার্টি ফান্ডে জমা পরেছে। এই ভাবেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। হঠাৎ রাস্তার গর্ত বোঝানোর কাজ শুরু হওয়ায় তীব্র তোপ দাগেন বিজেপি নেতৃত্ব। দেখা যাচ্ছে আরামবাগ থেকে খানাকুলের বন্দর পযন্ত রাজ্য সড়কের বেশ কিছু জায়গা খানাখন্দে ভরা ছিল কিন্তু প্রশাসন ও শাসক দলের নেতারা দেখেও চোখ বুজে ছিল। রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত থাকায় মোটর বাইকে করে যাতায়াত করা মানুষ জন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাদের দাবি ছিল গর্ত বুজিয়ে রাস্তাকে চলাচলে যোগ্য করে তোলা হোক। কিন্তু প্রশাসনের হুঁশ ছিল না। কিন্তু অভিষেকের আরামবাগ সফরের খবর প্রকাশিত হতেই নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে পূর্ত দপ্তর। এই বিষয়ে আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা বলেন, সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রাস্তার গর্ত বোঝানো হচ্ছে। এটা ভাবা ভুল। শাসক দলের উচ্চ নেতৃত্ব আরামবাগে আসচ্ছে তাকে সন্তুষ্ট করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের টাকা তো তৃণমূল নেতারা খেয়ে ফেলেছে। যদি রাস্তা ঠিকমতো না থাকে তাহলে আরামবাগের নেতাদের যেমন পদ থাকবে না তেমনি প্রশাসনিক আমলারাও রোষের মুখে পড়বে। তাই তড়িঘড়ি এই সব করা হচ্ছে। অপরদিকে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা আরামবাগ ব্লক বা পঞ্চায়েত সমিতি থেকে করা হচ্ছে না। রাজ্য বা জেলা থেকে রাস্তা সংস্কার করা হতে পারে। অস্থায়ী ভাবে কোনও ঠিকাদার দিয়ে করানো হচ্ছে। সবমিলিয়ে এটা পরিষ্কার যে, সাংসদের কনভয় যাতে বেহাল রাস্তার জন্য যাতে আটকে না যায় সেই জন্য তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। তবে এলাকার মানুষ বলছে, মাঝে মাঝে সাংসদ আরামবাগ সফরে এলে কিছু হোক না হোক রাস্তার সংস্কার হবে। তাতে সাধারণ মানুষ ভালোভাবে চলাচল করতে পারবে। তাই আরামবাগের মানুষ স্বাগত জানায় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।