নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: শ্রম আর একাগ্রতার জোরে বাঁকুড়া থেকে কলকাতার টালিগঞ্জ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে দেখিয়েছেন বাঁকুড়ার মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। ২৯ মার্চ মুক্তি পেতে চলেছে শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অভাগীর স্বর্গ অবলম্বনে ‘ও অভাগী’ চলচিত্রটি। এই চলচিত্রে বাঁকুড়ার নতুনচটির বাসিন্দা মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় একক সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এই চলচিত্রে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাঁকুড়ার সুব্রত দত্ত। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় জানান, ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে গান শিখতে যাওয়া থেকে শুরু হয় এই অভিযান। তারপর ধীরে ধীরে গানের প্রতি ভালোবাসার টানেই এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।
আগেও ছোটখাটো মিউজিক অ্যালবাম ছাড়াও, কয়েকটি জনপ্রিয় মিউজিক প্রোডাকশন হাউজের হয়ে কাজ করেছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও ওয়েব সিরিজ এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজ করেছেন তিনি। রূপঙ্কর বাগচি, সিদ্ধার্থ সিধু রায় এবং লোপা মুদ্রা মিত্রের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাঁকুড়ার মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের। বাঁকুড়া শহরের নতুনচটির বাসিন্দা ছিলেন মৌসুমী, পড়াশোনা বাঁকুড়া গার্লস হাই ßুñল থেকে। বর্তমানে কর্ম এবং পারিবারিক সূত্রে কলকাতায় বসবাস করেন তিনি।
বাঁকুড়া থেকে বাংলা সিনেমার জগতে প্রবেশ করার অভিযান কেমন ছিল জানতে চাওয়ায় মৌসুমী জানান, এই অভিযান ছিল কঠিন পরিশ্রমে মোড়া। কোনও রকম রেফারেন্স ছাড়াই টালিগঞ্জের চাকচিক্যের জগতে জায়গা তৈরি করতে লেগেছে সময় এবং শ্রম। প্রান্তিক জেলা বাঁকুড়ার ইতিহাস, সংßৃñতি, শিল্প এবং মেধার নাম রয়েছে দিকে দিকে। বাঁকুড়ার মাটি থেকে সফল মানুষজন কাজ করছেন পৃথিবীর কোনায় কোনায়। বাঁকুড়া থেকে টালিগঞ্জে গিয়ে ‘ও অভাগী’তে একক মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করা বাঁকুড়ার মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় উঠতি যুবক যুবতীদের অনুপ্রেরণা দেবে।