৪ ওভারে ১২ রানে ৩ উইকেট। পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ এলোমেলো করে দেওয়ার মতো বোলিংই ফাইনালে করেছেন ইংল্যান্ডের পেসার স্যাম কারেন। ম্যান অব দ্য ফাইনালও তিনিই। সব মিলিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচ খেলে ১১.৩৮ গড়ে ১৩ উইকেট নিয়েছেন কারেন। ইকোনোমিও ছিল ঈর্ষণীয়-৬.৫২। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো ১০ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। কারেনকে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার তুলে দেওয়ার জন্য খুব একটা ভাবতে হয়নি বিচারকদের।
কিন্তু এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ বাছতে গিয়ে আইসিসি যে নির্বাচক প্যানেল বানিয়েছিল, তাঁরা কী ভেবেছিলেন কে জানে। টুর্নামেন্টসেরা কারেনকেই যে সেরা একাদশে রাখেননি তাঁরা!
২৪ বছর বয়সী কারেন না থাকলেও বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দলের তিনজন আছেন সেরা একাদশে। অধিনায়ক জস বাটলারের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছেন ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ও ফাস্ট বোলার মার্ক উড।
অসাধারণ নেতৃত্ব দেওয়ার সঙ্গে ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন বাটলার। ৬ ম্যাচে দুটি ফিফটি ও একটি সেঞ্চুরিতে ৪৫ গড়ে ২২৫ রান করেছেন ইংলিশ ওপেনার। আর হেলস ৬ ম্যাচে দুটি ফিফটিতে ৪২.৪০ গড়ে করেছেন ২১২ রান। চোটের কারণে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলতে না পারা উড ৪ ম্যাচ খেলে ১২ গড়ে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
৩ ও ৪ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে আইসিসির সেরা একাদশে আছেন ভারতের বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব। ৬ ম্যাচে চারটি ফিফটিতে ৯৮.৬৬ গড়ে ২৯৬ রান করে কোহলিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
আর সূর্যকুমার ৫৯.৭৫ গড়ে ২৩৯ রান নিয়ে এই তালিকার তিন নম্বরে সূর্যকুমার। ব্যাটসম্যান হিসেবে এ ছাড়া আছেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। দলে স্পিনিং অলরাউন্ডার দুজন-পাকিস্তানের শাদাব খান ও জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। পেস বোলার হিসেবে ইংল্যান্ডের উডের সঙ্গে আছেন পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি, দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিখ নর্কিয়া ও ভারতের অর্শদীপ সিং।