চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল মা ও মেয়ে। মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার সুলতানগঞ্জ রেলগেট এলাকায়। যদিও সোমবার রাত থেকেই ওই গৃহবধূ তার নাবালিকা মেয়েকে নিয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। রাতভোর খোঁজ করেও মা ও মেয়ের সন্ধান পায়নি পরিবারের লোকেরা। এদিন সকালে কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ এলাকার রেলগেট সংলগ্ন লাইনের ধারে ওই দু’জনের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেল পুলিশের কর্তারা। এরপরে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। মৃতের পরিবারের বক্তব্য, ওই গৃহবধূর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই আর্থিক অনটনের মধ্যেই ছিল। অবসাদগ্রস্ত হয়ে নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে তারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম কাজল ঘোষ (২৫), তার মেয়ে প্রীতিকা ঘোষ (৯)। গত ৮ বছর আগে দুর্ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীর মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই কালিয়াচক ৩ ব্লকের ভবানীপুরে বাবার বাড়িতে থাকতেন ওই গৃহবধূ। বাবা গৌর ঘোষ দিনমজুর। কোনওক্রমে সংসার চলছিল। বেশ কিছুদিন ধরে আর্থিক অনটনে চলছিল তাদের সংসার। আর্থিক অনটনের জন্য মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা। সোমবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর তার নাবালিকা মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই গৃহবধূ। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল মা ও মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ পুলিশ স্থানীয় কিছু মানুষদের কাছ থেকে জানতে পারে কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জ এলাকায় রেললাইনের ধারে দুটি ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। দেহ দুটি চিহ্নিত করেন তাঁরা। পরিবারের লোকেদের দাবি, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই মহিলা। প্রাথমিক অনুমান চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মা ও মেয়ে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার।