চিত্ত মাহাতো
মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে কলকাতার কার্নিভালের (carnival) ঢেউ আছড়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতির পর শুধু কলকাতা নয় জেলায় জেলায় দুর্গা বিসর্জনের শোভাযাত্রা কার্নিভাল প্রদর্শনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে জমজমাট শোভা যাত্রার আয়োজন করা হয়। উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে বেশ কিছু পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। আয়োজনে যদিও নানা অসঙ্গতি ও ত্রুটি দেখা যায়। ঝাড়গ্রাম শহরে কার্নিভাল উপলক্ষে বন্ধ করে দেওয়া হয় প্রধান রাস্তাগুলি। ফলে মানুষজন অসুবিধায় পড়েন। শোভাযাত্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা এবং মানুষকে অসুবিধায় ফেলা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলি। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর প্রশাসনিক উদ্যোগে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন কতখানি প্রাসঙ্গিক তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা ছটার পর ঘাটাল খড়গপুর ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুর শহরে বিসর্জনের শোভাযাত্রা শুরু হয়। অনেক পুজো কমিটি বিষয়টি পছন্দ না করে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় মেদিনীপুর শহরে মাত্র ১৭ টি, খড়গপুরে ১১ টি পুজো কমিটি কার্নিভালে যোগ দিয়েছিল। ঝাড়গ্রাম শহরের অনুমোদন প্রাপ্ত আঠাশটি পুজো কমিটির মাত্র ১০ টি যোগ দেয়। নানান ক্ষোভ বিক্ষোভে ১৮ টি কমিটি কার্নিভালে যোগ দেয়নি। অংশগ্রহণকারী পুজো উদ্যোক্তারা তাদের থিমগুলি তুলে ধরেন।