সোমবার ১৮ জুলাই বিকাল ৫টায় শেষ হল ভারতের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি বাছাইয়ের নির্বাচন। সারা দেশে সাংসদ এবং বিধায়করা বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহা এবং এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিলেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেল তথা মুখ্য রিটার্নিং অফিসার পিসি মোদি। এক সূত্রের দাবি বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক এবং সমাজবাদী পার্টির বিধায়করা দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর পিসি মোদি বলেছেন সংসদে মোট ভোট পড়েছে ৯৯.১৮ শতাংশ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদে ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ৭৩৬ জন নির্বাচকের মধ্যে ৭৩০ জন ভোট দিয়েছেন। প্রসঙ্গত সংসদে ভোট দেওয়ার অনুমতি ছিল দুই কক্ষের মোট ৭২৭ জন সাংসদের। ৯ জন বিধায়ক সংসদে ভোটদানের বিশেষ অনুমতি নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই ভোট দিয়েছেন তবে সাংসদদের মধ্যে ভোট দেননি ৬ জন।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ ৬০০ জন সোমবার ভোটদান করেন।
এদিন সংসদে হুইলচেয়ারে করে ভোট দিতে এসেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। হুইলচেয়ারে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদবও। প্রথমবার তিনি ভোট দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে আরেকটি সুযোগ দিতে হয়। অন্যদিকে পাটনায় বিজেপি বিধায়ক মিথিলেশ কুমার ভোট দিতে এসেছিলেন স্ট্রেচারে করে। এক মাস আগে তাঁর সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছিল।
সংসদে পিপিই কিট পরে ভোট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং। দুজনেই কোভিড ১৯ আক্রান্ত। তামিলনাড়ুতে রাজ্যের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী ও পনিরসেলভামও রাষ্ট্রপতি কোভিড ১৯ সংক্রামিত। তিনিও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন পিপিই কিট পরে। অন্যদিকে কোভিড১৯ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে চেন্নাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি থাকা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিনকে এদিনই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে সরাসরি ভোট কেন্দ্রে পৌঁছন তিনি।